এবার টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

এবার টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

বন্যা কবলিত এলাকায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল হওয়ার পর এবার একই পথে হাঁটল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এই বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

বন্যা কবলিত এলাকায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল হওয়ার পর এবার একই পথে হাঁটল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এই বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

বৃ্‌হস্পতিবার (২২ আগস্ট) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ফেনী ও কুমিল্লা অন্যান্য অঞ্চলের জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, বন্যা প্লাবিত ফেনী, কুমিল্লা ও অন্যান্য অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

পদক্ষেপগুলো হলো:

ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। এছাড়া, বিটিআরসি, বিটিসিএল ও টেলিটক হতে ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।

২২ আগস্ট সকাল আটটার রিপোর্ট অনুযায়ী, বন্যা প্লাবিত ১১টি জেলায় মোট ৬৯৮৬টি সাইটের (টাওয়ার) মধ্যে ৫৪৭৬টি সাইট সচল আছে। অচল টাওয়ারের হার ২১.৬ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী ও খাগড়াছড়ির টাওয়ার, যার শতকরা হার যথাক্রমে ৪২.৪ শতাংশ ও ৪১.৫ শতাংশ। অচল টাওয়ারসমূহ দ্রুত সচল করার ব্যবস্থা অব্যাহত আছে।

বন্যাকবলিত এলাকার জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভি-এসএটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তন্মধ্যে পাঁচটি ভি-এসএটি ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।

মোবাইল টাওয়ার সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানিদের বিটিআরসি হতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, অপারেটরদের সঙ্গে বিটিআরসি হতে ভার্চুয়ালি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টেলিকম অপারেটরদের সাইটসমূহ সচল রাখার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং বিতরণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি সমন্বয় সাধন করছে।

টেলিকম অপারেটরদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অটুট রেখে পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপের (ব্যাটারি ব্যাকআপ, ডিজেল জেনারেটর, পোর্টেবল জেনারেটর ইত্যাদি) ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

দেশের চারটি মোবাইল অপারেটরের সহায়তায় বন্যা কবলিত এলাকার মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য ৫০০ মেগাবাইট ডাটা ফ্রি করা হয়েছে।

এমএম/কেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *