উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিপৎসীমার রেকর্ডসংখ্যক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি। এ নদীর পানি ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বাঁধ ভেঙে লোকালয় পানি ঢুকে যাওয়ায় শুক্রবার দিনব্যাপী কমেছে গোমতীর পানি। এখনও বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা খুবই বিপজ্জনক।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিপৎসীমার রেকর্ডসংখ্যক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি। এ নদীর পানি ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বাঁধ ভেঙে লোকালয় পানি ঢুকে যাওয়ায় শুক্রবার দিনব্যাপী কমেছে গোমতীর পানি। এখনও বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা খুবই বিপজ্জনক।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে এগারোটায় ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে গোমতীর বাঁধ ভাঙার আগ পর্যন্ত ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা স্মরণকালের সর্বোচ্চ সীমা। এর আগে ১৯৯৭ সালে বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল গোমতীর পানি। এবার অতীতের যেকোনো রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে নদীটির পানি উচ্চতা।
তিনি বলেন, গোমতীর বাঁধ ভাঙার পর বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নতুন নতুন কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে কিছুটা কমতে শুরু করেছে পানি। তবে ঘণ্টায় কমছে ১ সেন্টিমিটার পানি। ২৪ ঘণ্টায় ২৪ সেন্টিমিটার কমেছে। সুতরাং আমরা এখনও অধিক ঝুঁকিতে রয়েছি।
অপরদিকে, গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর থেকে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হয়েছে বুড়িচং উপজেলায়। এ উপজেলার ষোলনল, পীরযাত্রাপুর, বাকশীমূল, রাজাপুর এবং বুড়িচং সদরসহ ৫টি ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। লোকালয়ে পানির প্রবাহ বেশি হওয়ায় প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আটকা পড়ছেন হাজার হাজার মানুষ।
এছাড়াও অবিরত প্রবাহের ফলে ব্রাহ্মণপাড়ার মালাপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানির এই প্রবাহ অব্যাহত থাকলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পর্যন্ত প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমএ