অবশেষে গুঞ্জন হলো সত্যি। দীর্ঘ একযুগ পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির চেয়ারটা ফাঁকা হলো বুধবার। পাকিস্তানে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যখন মাঠের খেলায় নামার অপেক্ষায়, ঠিক সেই সময়েই শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জরুরি সভা।
অবশেষে গুঞ্জন হলো সত্যি। দীর্ঘ একযুগ পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির চেয়ারটা ফাঁকা হলো বুধবার। পাকিস্তানে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যখন মাঠের খেলায় নামার অপেক্ষায়, ঠিক সেই সময়েই শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জরুরি সভা।
আর সেখানেই এলো সিদ্ধান্ত। আগেই জানা গিয়েছিল এই সভা থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন নাজমুল হাসান পাপন। বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ পরেই এলো সেই খবর। ২০১২ সালে সভাপতি মনোনয়ন এবং ২০১৩ সালের নির্বাচনের পর এই আসনে বসেন তিনি। এখন অপেক্ষা নতুন এক সভাপতির জন্য।
বুধবারের বৈঠকের পর থেকেই কার্যকর হবে নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগ গুঞ্জন রয়েছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদই হচ্ছেন ক্রিকেট বোর্ডের পরবর্তী সভাপতি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অবিচ্ছেদ্য এক অংশই হয়ে উঠেছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। ২০১২ সালে নিয়োগের পর থেকে টানা দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য অর্জনটাও ছিল তার সময়ে। যদিও নিজের মেয়াদের শেষদিকে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দ্বিতীয়বারের নিয়োগ, ক্রিকেটার এবং বোর্ডের একাধিক ব্যক্তির মধ্যে অন্তঃকলহ পরিবেশ কিছুটা হলেও বিষাক্ত হয়েছিল।
২০১৩ সালের পর ২০১৭ ও ২১ সালে টানা তিনবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপন এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরিচালকরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গত দুই নির্বাচনে তিনি ঢাকা আবাহনীর কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়ায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পাপন।
রাজনৈতিক পালাবদলের পরেই নাজমুল হাসান পাপনের সরে যাওয়া নিয়ে ছিল ব্যাপক আকারের গুঞ্জন। বিগত সরকারের সময়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন টানা তিন মেয়াদে। শেষবার হয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী। ক্রিকেট বোর্ডেও ছিল একক আধিপত্য। বোর্ডের গঠনতন্ত্রে দুই সহ-সভাপতির কথা উল্লেখ থাকলেও সেসব পদ শুন্যই ছিল তার মেয়াদে।
নাজমুল হাসান পাপনের বর্তমান অবস্থান অজানা। ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপে তাকে সভাপতি পদ থেকে নামানো হলে ছিল আইসিসির নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা। তবে পাপন নিজেই এই পদ থেকে পদত্যাগ করায় সেই শঙ্কাই আপাতত দূর হলো।
এদিকে বিসিবির আজকের জরুরী সভায় যোগ দিয়েছেন ফারুক আহমেদ। একইসঙ্গে দেখা গিয়েছে নাজমুল আবেদিন ফাহিমকেও। এ ছাড়া কাজী ইনাম, মাহবুব আনামকেও দেখা গেছে। আম্পায়ার্স কমিটির সদস্য ইফতেখার আহমেদ মিঠুও যোগ দিয়েছেন বৈঠকে। ১১টায় শুরু হওয়া এই বৈঠকে পরিচালকদের মাঝে আরও উপস্থিত আছেন আকরাম খান, সাইফুল আলম স্বপন, ফাহিম সিনহা, খালেদ মাহমুদ সুজন ও সালাউদ্দিন চৌধুরি।
বিসিবির গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরিচালক বোর্ডের সদস্যদের অন্তত ৯ জনের উপস্থিতি দরকার। তবে পরিচালক না হলেও এতে উপস্থিত হয়েছেন ফারুক আহমেদ এবং নাজমুল আবেদীন ফাহিম। অন্যদিকে পরিচালকদের মধ্যে সাজ্জাদুল আলম ববি আমন্ত্রণ পাননি বৈঠকের।
জেএ