মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী শিমুল হোসাইনকে বিবস্ত্র করে মারধর ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী এএম আতিক উল্লাহকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে।
মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী শিমুল হোসাইনকে বিবস্ত্র করে মারধর ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী এএম আতিক উল্লাহকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে।
তার নতুন কর্মস্থল ঢাকায় সড়ক ভবনে। সেখানে প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর সংলগ্ন ছুটি, প্রশিক্ষণ ও প্রেষণজনিত সৃষ্ট সংরক্ষিত (সিভিল) পদে থাকবেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বদলি হওয়া কর্মকর্তা এএম আতিক উল্লাহ ১৪ জুলাই নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে মাগুরাতে যোগদান করেন। কিন্তু অধিকাংশ সময় তিনি জেলার বাইরে অবস্থান করেন। এতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উন্নয়ন সংস্কার ও দাপ্তরিক কাজকর্মে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। অথচ তার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা তো পাচ্ছেন না উল্টো দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণের শিকার হচ্ছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ২ অক্টোবর মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষরিত ‘গণ বদলির’ আবেদন জানান। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এসব কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ এনে ৬ অক্টোবর নির্বাহী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে এবং তারই নির্দেশে অফিস কক্ষে উপসহকারী প্রকৌশলী শিমুল হোসাইনকে শার্ট-প্যান্ট খুলে মারধর ও ভিডিও ধারণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর একই দিন রাতে নির্বাহী প্রকৌশলী এএম আতিক উল্লাহসহ সুনির্দিষ্ট আরও ৪ জন এবং অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার উপসহকারী প্রকৌশলী শিমুল।
এদিকে এ ঘটনা নিয়ে ৭ অক্টোবর ঢাকা পোস্টে ‘উপসহকারীকে পিটিয়ে নেওয়া হলো নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে’ এ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলীকে মাগুরা থেকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। বদলির বিষয়টি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এবং মাগুরা জেলা কার্যালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আরকে