পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করেছে বাংলাদেশ আনজুমানে আশেকানে মোস্তফা (দ.) ও বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত। মিছিলটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে শহরে বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে শাহজাহানপুর রেলওয়ে হাফিজিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসায় এসে সমাপ্ত হয়।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করেছে বাংলাদেশ আনজুমানে আশেকানে মোস্তফা (দ.) ও বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত। মিছিলটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে শহরে বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে শাহজাহানপুর রেলওয়ে হাফিজিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসায় এসে সমাপ্ত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের নির্বাহী মহাসচিব, চাঁদপুর ঐতিহ্যবাহী ইসলামপুর গাছতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরসাহেব আল্লামা খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী নকশেবন্দী মুজাদ্দেদী।
তিনি বলেন, আজ ১২ই রবিউল আউয়াল, প্রতিবছরের ন্যায় এবারো সারাবিশ্বের সঙ্গে মিলিয়ে জাঁকজমকভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হচ্ছে। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে নাতে মোস্তফা, কাওয়ালি মাহফিলসহ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আয়োজন হচ্ছে। তবে একশ্রেণির নামধারী মুসলমান মিলাদুন্নবীর বিরুদ্ধে কথা বলে আসছে। যাদের অসংখ্যবার কোরআন-হাদিস ও যুগশ্রেষ্ঠ আলেম, ইমামগনের ফতোয়া ও দলিল দেখানোর পরেও তারা তাদের বানোয়াট ফতোয়াবাজি অব্যাহত রেখেছে। আবার তারাই সারা দেশে মাজার শরীফ, পীর মাশায়েখদের খানকা, দরবারে হামলা ও ভাঙচুর করছে। এরা শিরক-বিদআতের দোহাই দিয়ে নিজেদের সালাফি, আহলে হাদিস, ওহাবি দাবি করে সর্বত্র খারেজিপনা করছে।
‘আজ থেকে একশ বছর পূর্বে এই ওহাবি নজদীরা শিরক-বিদআতের দোহাই দিয়ে মক্কা-মদিনায় জান্নাতুল বাকি ও জান্নাতুল মুয়াল্লার সব আহলে বায়েত, সাহাবীদের স্মৃতি বিজড়িত মাজার শরীফ ভেঙে দিয়েছিল। তৎকালিন সময়ে ব্রিটিশদের সাহায্য নিয়ে এরা ওসমানি খিলাফত ধবংস করে সৌদিআরব রাজতন্ত্র কায়েম করেছিল। আজ এদেরই প্রেতাত্মা বাংলার জমিনে তাদের মুলকিয়াত কায়েম করতে চায়, বাংলার চিরাচরিত সুফিজম চর্চা ধ্বংস করে দিতে চায়। এদের বলে দিতে চাই আউলিয়াগণের মাজারে যতই হামলা কর তাদের মাজার শরীফ থাকবে বরং তোমরা বেইজ্জতি হয়ে নিঃশেষ হয়ে যাবা, যেভাবে বাংলা ভাই, জেএমবিদের জঙ্গিদের আজ কোনো অস্তিত্ব নেই। সরকারকে বলে দিতে চাই, মাজারের ওপর হামলা বন্ধ না হলে রাজপথে নেমে আসবে আউলিয়াপ্রেমিক মুসলিম জনতা। তাই অবিলম্বে মাজার হামলাকারি রাষ্ট্রদ্রোহীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওয়াতায় আনতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আলেম শহীদ আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকি হত্যার বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— রেলওয়ে হাফিজিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইব্রাহিম খলীল আড়াইহাজারি, মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মেজবাহ উদ্দিন আশরাফি, বাংলাদেশ আনজুমানে আশেকানে মোস্তফা (দ.) এর সচিব মো. জসীম, মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শিকদার, তরুণ উদীয়মান ইসলামী আলোচক মাওলানা হাসানুর রহমান নকশেবন্দী, মাওলানা কামরুজ্জামান নকশেবন্দীসহ আরও অনেকেই।
এমএ