ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ শুরু

ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ শুরু

রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে শুরু হয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমাবেশ। 

রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে শুরু হয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমাবেশ। 

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেল ৩টায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের হাজারখানেক নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন।

সংগঠনটির প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে করণীয় এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৯ দফা প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতেই আজকের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের আমির মুফতি এবং চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ সভাপতিত্ব করছেন বলে জানান তিনি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পল্টন মোড় থেকে শুরু করে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট পর্যন্ত সংগঠনটির নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। বিভিন্ন দিক থেকে ছোট-বড় মিছিল এসে যুক্ত হচ্ছে সমাবেশে। এ সময় তাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

এর আগে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সৃষ্ট পরিস্থিতিতে করণীয় এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৯ দফা প্রস্তাব দেয় ইসলামী আন্দোলন। বুধবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন উৎখাতের সংগ্রামের সূচনা করেছে আমাদের শিক্ষার্থী সমাজ। তাদের অসীম সাহস, ত্যাগ ও বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব আমাদের গর্বিত করেছে।

এ সময় তিনি ৯ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে— স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে অনূর্ধ্ব ১৫ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে হবে। এতে আলেমদের থেকে প্রতিনিধি অবশ্যই থাকতে হবে। গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইবুনালে জুলাই গণহত্যার বিচার করতে হবে। পাশাপাশি গত ১৬ বছরে সব রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

আরএইচটি/কেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *