দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্ভূলভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছেন হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে।
দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্ভূলভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছেন হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে।
তিনি বলেছেন, “আমরা অধিকৃত ফিলিস্তিনের (ইসরায়েল) জাফফা এলাকার একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছি। হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। কোনো বাধা ছাড়াই এটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।”
হুথি মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েলে আঘাত হানার আগে ক্ষেপণাস্ত্রটি ২ হাজার ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। ইয়েমেন থেকে দখলদার ইসরায়েলে পৌঁছাতে ক্ষেপণাস্ত্রটির সময় লেগেছে সাড়ে ১১ মিনিট।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র আসার খবরে ইসরায়েলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় ২০ লাখ ইসরায়েলি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেন। দখলদার ইসরায়েলের এত মানুষ এর আগে কখনো একসঙ্গে আশ্রয় কেন্দ্রে যাননি।
হুথি মুখপাত্র বলেছেন, সামনে হুথিরা এ ধরনের আরও অভিযান চালাতে পারে।
আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ইসরায়েলের বিভিন্ন জায়গায় সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। এরপরই আঘাত হানে হুথিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। হামাস ও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ওই সময় থেকে ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলা চালানো শুরু করে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। তাদের হামলার কারণে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
যুদ্ধের শুরুতে হুথিরা শুধুমাত্র ইসরায়েলি মালিকানাধীন জাহাজে হামলা চালালেও পরবর্তীতে তারা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের জাহাজকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা শুরু করে। এবার তারা সরাসরি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়েছেন হুথিদের এ হামলার কঠোর জবাব দেবেন তিনি। এছাড়া লেবানন সীমান্তে যেসব অবৈধ বসতিস্থাপনকারী আছে তাদেরও দ্রুত ফেরানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সূত্র: আলজাজিরা
এমটিআই