ইসরায়েলি হামলায় ছিন্ন দেহ, তবুও বাঁচতে হাত নাড়ছে বালক (ভিডিও)

ইসরায়েলি হামলায় ছিন্ন দেহ, তবুও বাঁচতে হাত নাড়ছে বালক (ভিডিও)

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলের হামলায় দেহ ছিন্ন হয়ে যাওয়া এক বালকের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পরও বাঁচার জন্য নিজের হাত নেড়ে অন্যদের কাছে সাহায্য চাইছে সে।

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলের হামলায় দেহ ছিন্ন হয়ে যাওয়া এক বালকের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পরও বাঁচার জন্য নিজের হাত নেড়ে অন্যদের কাছে সাহায্য চাইছে সে।

ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ওয়াফা তাহের গত শুক্রবার মর্মান্তিক এ ঘটনার ভিডিওটি ধারণ করেন। যা তিনি পরবর্তীতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে দেন। তারা যাচাই করে দেখেছে ভিডিওটি আসল।

ভিডিওতে সাংবাদিক তাহেরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “সে একজন শিশু, মনে হচ্ছে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। তার ওপর তারা (ইসরায়েলি সেনারা) হামলা চালাল কেন।”

পরবর্তীতে জানা গেছে ওই শিশুর নাম মোহাম্মেদ সালিম। তার বয়স ১৩ বছর। ইসরায়েলি হামলায় ভয়াবহভাবে আহত হওয়ার পরও সে বাঁচার চেষ্টা করছিল।

তবে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা তাকে বাঁচতে দেয়নি। শিশুটিকে দেখে কয়েকজন ডজন মানুষ এগিয়ে গেলে তাদের লক্ষ্য করে আরেকবার হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই সময় বাকিরা সরে যায়। এরপরই শিশু সেলিম মারা যায়।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেলিম যখন সাহায্য চাইছে তখন অনেকে দৌড়ে তার কাছে যাচ্ছে। কাছে গিয়েই শরীর ছিন্ন হয়ে যাওয়া শিশুটিকে দেখে অনেকে মাথায় হাত দেন। কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। এরমধ্যে দুজন তার হাত ধরে টান দেয়। ঠিক তখনই আরেকবার আঘাত হানে দখলদার সেনারা।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, দ্বিতীয়বার দখলদাররা হামলা চালানোর পর ১৪ বছর বয়সী অপর এক বালক গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে সেও মারা যায়।

দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানিয়েছে, জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে হামাসকে নির্মূল করতে হামলা চালানো হচ্ছে। তবে ওই শিশুর ওপর কেন হামলা চালানো হয়েছে এবং কী লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু বলেনি তারা।

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

এমটিআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *