ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে চাঁদপুরে ১৯ দিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩০১ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ১ হাজার ৯৫৭ কেজি ইলিশ, ৬২ লাখ ৬৭ হাজার মিটার জাল ও ১০১টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়।
ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে চাঁদপুরে ১৯ দিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩০১ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ১ হাজার ৯৫৭ কেজি ইলিশ, ৬২ লাখ ৬৭ হাজার মিটার জাল ও ১০১টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নৌপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে চাঁদপুর জেলার নৌ পুলিশের ছয়টি ইউনিট, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগসহ ১৯ দিনে (১৩ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত) চাঁদপুরে পদ্মা মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় ৩০১ জনকে আটক করা হয়েছে।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। ২৪ ঘণ্টা নদীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ পৃথক অভিযান চালাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৩০১ জেলেকে আলামতসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৪৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ১৭ জনকে ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক জেলেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৯৯ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ৩৭টি এবং পুলিশের উপর হামলায় একটি মামলা করা হয়। এছাড়া জব্দ করা মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ এবং কারেন্ট জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মা ইলিশ রক্ষায় ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ সময়ে নদীতে নামলে আটক ব্যক্তির সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে।
আনোয়ারুল হক/এফআরএস