ইরানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ১০ সীমান্তরক্ষী নিহত

ইরানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ১০ সীমান্তরক্ষী নিহত

ইরানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলায় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অন্তত ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার এই হামলা হয়েছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

ইরানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলায় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অন্তত ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার এই হামলা হয়েছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

এর আগে, শনিবার রাতে ইরানের রাজধানী তেহরান-সহ তিনটি প্রদেশের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এই হামলার পরপরই দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি বহরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ইসনা, মেহের নিউজ ও তাসনিম নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বের গোহর কুহ এলাকায় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা ইরনা বলেছে, সিস্তান-বেলুচিস্তানে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর গাড়ি বহরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। তবে এই হামলার বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য দেয়নি ইরনা।

আফগানিস্তান, ইরান ও পাকিস্তানের বালুচ জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন হালভাশ বলেছে, হামলায় ইরানি পুলিশের ব্যবহার করা একটি পুলিশ ভ্যানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গোষ্ঠীটির শেয়ার করা ছবি ও ভিডিওতে গাড়িটির সামনের আসনে দুই পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

হালভাশ বলেছে, গোহর কুহতে নিরাপত্তা বাহিনীর দু’টি গাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। হামলায় গাড়ি দুটির সব আরোহী নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশ ভ্যানটিতে কোনও ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার না করে কেবল গুলি চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসকান্দার মোমেনি এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও গোষ্ঠীকে দায়ী করেনি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার দায় স্বীকার করেনি। শনিবার ভোরের দিকে ইরানের বিভিন্ন প্রান্তে ইসরায়েলি হামলার পর সিস্তান-বেলুচিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর এই হামলা হয়েছে।

এসএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *