গত এক বছর ধরে বর্বর ও নির্বিচার হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে দখলদার ইসরায়েল। গত দুই সপ্তাহ ধরে লেবাননেও একই ধরনের বর্বরতা শুরু করেছে তারা।
গত এক বছর ধরে বর্বর ও নির্বিচার হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে দখলদার ইসরায়েল। গত দুই সপ্তাহ ধরে লেবাননেও একই ধরনের বর্বরতা শুরু করেছে তারা।
দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্ট আজ রোববার (৬ অক্টোবর) হুমকি দিয়েছে, যদি ইরান ইসরায়েলের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে ইরানের অবস্থা গাজা-লেবাননের মতো করা হবে।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত গ্যালান্ট দাবি করেছেন, গত মঙ্গলবার ইরান যে মিসাইল হামলা চালিয়েছে— এতে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। এমনকি কোনো বিমানে একটি দাগও পড়েনি।
গ্যালান্ট বলেছেন, “ইরানিরা আমাদের আকাশ শক্তিকে স্পর্শ করেনি। কোনো বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কোনো স্কোয়াড্রনের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। যারাই ভাববে ক্ষতি করার মাধ্যমে আমাদের আটকাবে। তাদের গাজা এবং লেবানের বৈরুতে আমাদের (অর্জন) দেখা উচিত।”
এদিকে ইরানের মিসাইল হামলার পর দখলদার ইসরায়েল পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইরান জানিয়েছে তারাও ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার জন্য প্রস্তুত আছে। তেহরান হুমকি দিয়েছে, ইসরায়েল যদি হামলা চালায় তারা আবারও ইসরায়েলে হামলা চালাবে।
ইসরায়েল ইরানে শক্তিশালী হামলা চালাবে জানিয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহ বলেন, “সম্প্রতি ইরান ইসরায়েলে যে মাত্রার মিসাইল হামলা চালিয়েছে, বিশ্বের অন্য কোনো দেশ তাদের ভূখণ্ড ও জনগণের ওপর এই মাত্রার হামলা বরদাস্ত করবে না, ইসরায়েলও করবে না।”
“নিজের ভূখণ্ড ও নাগরিকদের রক্ষা করা শুধু অধিকারই নয়, এটি ইসরায়েলের দায়িত্বও। ইসরায়েল সেই দায়িত্ব নিশ্চিতভাবেই পালন করবে।”
সূত্র: ফ্রান্স২৪
এমটিআই