দখলদার ইসরায়েলে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর দেশটিতে বড় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।
দখলদার ইসরায়েলে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর দেশটিতে বড় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।
ইয়েমেনি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বন্দরনগরী হোদেইদাকে লক্ষ্য করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হোদেইদার একটি জায়গা থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে।
গত এক মাসে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপরই দেশটির গুরুত্বপুর্ণ বন্দরনগরীতে হামলার ঘটনা ঘটল।
সৌদির সংবাদমাধ্যম আলআরাবিয়া জানিয়েছে, ইসরায়েল হোদেইদা বন্দরেই হামলা চালিয়েছে। এতে লক্ষ্য করা হয়েছে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
সংবাদমাধ্যমটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের জবাব দিতেই ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
হুথি বিদ্রোহী মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইয়াাহিয়া সারে গতকাল জানান, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিমান ইসরায়েলে আসার পর তারা বেনগুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছেন। হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালানো হয় বলে জানান তিনি।
তবে ইসরায়েল দাবি করে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলে প্রবেশের আগে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসকে সহযোগিতা করতে এরপরের দিন এগিয়ে আসেন হিজবুল্লাহর সদ্য প্রয়াত প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। এছাড়া এতে যোগ দেয় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরাও।
তারা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী জাহাজে প্রথমে হামলা চালানো শুরু করে। এরপর যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন জাহাজকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
এমটিআই