‘ইয়ামালকে প্রমাণ করে দেবো, আমি ওর চেয়ে সেরা’

‘ইয়ামালকে প্রমাণ করে দেবো, আমি ওর চেয়ে সেরা’

একজন খ্যাতি পেয়েছেন বার্সেলোনায়। লিওনেল মেসির ছায়ায় তাকে দেখছেন অনেকেই। লামিনে ইয়ামাল নামটাই এখন ফুটবল বিশ্বের বড় এক বিষ্ময়। খেলেন মেসির মতোই ডানপ্রান্তে। শৈশবে লিওনেল মেসির সান্নিধ্যে এসেছেন বলেই কি না, তার মাঝে মেসিকেই খোঁজে ফিরে ফুটবল দুনিয়া। খেলছেন বার্সেলোনাতেই। ইয়ামাল-মেসির সংযোগ খুঁজতে তাই খুব একটা কষ্ট হয় না। 

একজন খ্যাতি পেয়েছেন বার্সেলোনায়। লিওনেল মেসির ছায়ায় তাকে দেখছেন অনেকেই। লামিনে ইয়ামাল নামটাই এখন ফুটবল বিশ্বের বড় এক বিষ্ময়। খেলেন মেসির মতোই ডানপ্রান্তে। শৈশবে লিওনেল মেসির সান্নিধ্যে এসেছেন বলেই কি না, তার মাঝে মেসিকেই খোঁজে ফিরে ফুটবল দুনিয়া। খেলছেন বার্সেলোনাতেই। ইয়ামাল-মেসির সংযোগ খুঁজতে তাই খুব একটা কষ্ট হয় না। 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে লামিনে ইয়ামালকে আজ মুখোমুখি হতে হবে অন্য এক মেসির সঙ্গে। সার্বিয়ার ১৭ বছরের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার আন্দ্রিজা মাকসিমোভিচ এরইমাঝে নিজ দেশে খ্যাতি পেয়েছেন ‘সার্বিয়ান মেসি’ নামে। বলকান অঞ্চলে সবচেয়ে মেধাবী তরুণের তকমাটাও এরইমাঝে পেয়েছেন তিনি। 

সার্বিয়ার সবচেয়ে বড় ক্লাব রেডস্টার বেলগ্রেডের হয়ে খেলছেন উঠতি এই তারকা। ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের নজরে আছেন অনেকটা দিন ধরেই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের আগে বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামালকে একপ্রকার হুমকিই দিয়ে রেখেছেন মাকসিমোভিচ। সরাসরিই বলেছেন, ‘আমি মাঠে গিয়ে প্রমাণ করে দিতে চাই, আমি তার চেয়ে সেরা।’ 

লামিনে ইয়ামালের সঙ্গে আগেও সাক্ষাৎ হয়েছে মাকসিমোভিচের। ইউরো অনূর্ধ্ব-১৭ আসরে সার্বিয়া ও স্পেনের সেই ম্যাচে গোল পেয়েছিলেন দুজনেই। শুরুতে গোল করে সেই ম্যাচে সার্বিয়াকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মাকসিমোভিচ। পরবর্তীতে ইয়ামালের গোলেই সমতায় ফেরে স্পেন। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলেই ড্র হয়েছিল ম্যাচটা। 

সেই ম্যাচের স্মৃতি মনে করে বলেন, ‘আমার খুব ভালোভাবেই ম্যাচের কথা মনে আছে। আমরা যারা ২০০৭ সালে জন্মেছি তাদের জন্য ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ ছিল। ইয়ামাল এবং কুবারাসি দুজনেই স্পেনের জন্য খেলেছি। আমি নার্ভাস নই। জানতাম এমন সময় আসবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ… নিজেদের মাঠে। আমি দেখিয়ে দিতে চাই, আমি ইয়ামালের চেয়ে সেরা।’ 

মেসিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই মাকসিমোভিচের সরল জবাব, ‘মেসি অবশ্যই আমার আদর্শ তবে আমি মাকসিমোভিচ পরিচয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চাই।’ ১৭ বছর বয়েসী এই সার্বিয়ান শক্তিমত্তায় অনেকটা এগিয়ে থাকা বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলতে নামার আগে পুরোপুরি নির্ভারই থাকছেন, ‘আমি নার্ভাস নই। বার্সেলোনার মতো বড় ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে পেরে আমি খুশি।’ 

বার্সেলোনায় ইয়ামাল ছাড়াও আছেন মাকসিমোভিচের সমবয়েসী আরেক তারকা পাউ কুবারাসি। হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে ইয়ামালের মতোই সমান দ্যুতি ছড়াচ্ছেন কুবারাসি। সার্বিয়ান তারকা নজর রাখছেন সেদিকেও, ‘দলে কুবারাসিও আছে। তারা দুজনেই (ইয়ামাল এবং কুবারাসি) আমার বয়েসী। আমি আশা করছি ম্যাচ যখন শেষ হবে, তখন আমরা শার্ট অদল-বদল করতে পারব।’ 

চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৬ ম্যাচে এখন পর্যন্ত ৬ গোল এবং ৬ অ্যাসিস্ট করেছেন মাকসিমোভিচ। অন্যদিকে ১৫ ম্যাচ খেলা লামিনে ইয়ামাল ৬ গোলের সঙ্গে করেছেন ৮ অ্যাসিস্ট। দুজনের মাঠের লড়াইটা নিশ্চিতভাবেই জমিয়ে তুলবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বেলগ্রেড-বার্সেলোনা ফিক্সচার। 

জেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *