মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এর জেরে গতকাল এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ধাওয়া দিয়েছে।
ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের একটি অংশ চেয়ারম্যানকে দুর্নীতির দায়ে অপসারণ ও ছাত্র জনতার ওপর হামলাকারী আখ্যায়িত করে বিক্ষোভ মিছিল ও সভার ডাক দেয়। গতকাল বিকালে বিক্ষোভ মিছিলের আগে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক মেম্বার কমরুদ্দীন আহমদ ও তার ছেলে পঙ্কি মিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একটি পক্ষ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এ নিয়ে সকাল থেকে স্থানীয় মোকামবাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়া মীলীগের সদস্য নকুল চন্দ্র দাসকে রোহিঙ্গা নিবন্ধনের অভিযোগে গত ২৪ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে তিনি উচ্চ আদালতে রিট পিটিশিন করে পদ ফিরে পান। এরই মাঝে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস ইউনিয়নে অফিস করতে পারেননি।
সম্প্রতি এলাকায় গুঞ্জন ছড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কমরুদ্দিন আহমদের সহযোগিতায় ইউনিয়নে অফিস করছেন চেয়ারম্যান। এ নিয়ে বিএনপির সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন ও সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে রোববার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও সভার ডাক দেওয়া হয়। বিক্ষোভ মিছিলে যাওয়ার আগে বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি কমরুদ্দিনকে আনতে যান কয়েকজন নেতাকর্মী। তিনি আসার সময় তার ছেলে পঙ্কি মিয়া এতে বাধ সাধেন। পরে পঙ্কি মিয়ার নেতৃত্বে তার লোকজন বিক্ষোভে জড়ো হওয়া লোকজনকে ধাওয়া দেন এবং ব্যানার কেড়ে নেন। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও সভার আয়োজনকারী ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য ইউনিয়ন সভাপতিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আব্বাস আলী ফোন দিয়ে বলেছেন। আমাদের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে। এরপরও তিনি আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানের পক্ষ হয়ে মিছিলে বাধা ও নেতাকর্মীদের মারধর করে ধাওয়া দিয়ে ব্যানার কেড়ে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কমরুদ্দিন আহমদ বলেন, আমি বিক্ষোভ মিছিলের বিপক্ষে নই। আমি বলেছি আজকে না করে সকলের আলোচনার মাধ্যমে সময় ঠিক করে করা হবে। যারা দাওয়াত পায়নি তারা বাধা দিয়েছে।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মুবাশ্বির বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠায়।
আশরাফ আলী/এনএফ