ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া ইয়াসমিনের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে ইউএনওর পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেন।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া ইয়াসমিনের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে ইউএনওর পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বের) দুপুরে এই কর্মসূচি পালন করে উপজেলা, পৌর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ডিলার নিয়োগে অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতিসহ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টার অভিযোগে এই কর্মসূচি পালন করে বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে বৃষ্টির মধ্যে প্রায় হাজারখানেক নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে পৌর শহরের ফেডারেশন মাঠ মিনি স্টেডিয়াম থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদে অবস্থান নেয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম আর খায়রুল, শহীদুর রহমান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আব্দুল্লাহ আল মামুন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ছালাম ব্যাপারী, জাহিদ হাসান স্বপন, পৌর যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম রিপন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল ইসলাম ইমন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইউএনও রুবাইয়া ইয়াসমিন তার কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে ঘুষ-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন, টিসিবির মাল বিতরণে অনিয়ম, জন্ম নিবন্ধন, বেসরকারি স্কুল ও মাদাসার বেতন-বিলেও তার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রকাশ্যে বিএনপির বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছেন এবং আওয়ামী লীগের লোকদের সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
এ সময় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক বলেন, ইউএনও রুবাইয়া ইয়াসমিনের প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও রুবাইয়া ইয়াসমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে আমি কোনো কথা বলিনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। আমি কোনো ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নই। শুনেছি তারা আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তবে তাদের কেউ আমার কাছে আসেনি।
মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/এমজেইউ