জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, শেখ হাসিনা ভারতে বসে তার আন্তর্জাতিক দুষ্টচক্র কাজে লাগিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র করছে। আমাদেরকে কঠোর হাতে সেই ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। প্রশাসনের সর্বস্তরে আওয়ামী লীগের যে জঞ্জাল আছে তা পরিষ্কার করতে হবে। ১৫ বছরে যে জঞ্জাল আওয়ামী লীগ তৈরি করে রেখে গেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সেই জঞ্জাল পরিষ্কার করতে সময় দিতে হবে। দেশ সংস্কার করতে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। দেশ সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, শেখ হাসিনা ভারতে বসে তার আন্তর্জাতিক দুষ্টচক্র কাজে লাগিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র করছে। আমাদেরকে কঠোর হাতে সেই ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। প্রশাসনের সর্বস্তরে আওয়ামী লীগের যে জঞ্জাল আছে তা পরিষ্কার করতে হবে। ১৫ বছরে যে জঞ্জাল আওয়ামী লীগ তৈরি করে রেখে গেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সেই জঞ্জাল পরিষ্কার করতে সময় দিতে হবে। দেশ সংস্কার করতে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। দেশ সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে পিরোজপুরের সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের স্বজনদের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সেই শহীদ পরিবার আমাদেরই পরিবার, আমাদেরকেই এই শহীদ পরিবারকে দেখে রাখতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পাশাপাশি এই ১৬ বছরের বিভিন্ন সময়ে যারা শহীদ হয়েছেন এই দেশে তাদের রক্তের অবদান আছে। শহীদেরা যে শান্তিপূর্ণ দেশ চেয়েছিলেন আমাদের সেই শান্তি ধরে রাখতে হবে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সম্প্রতি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের আনসারের পোষাক পরিয়ে পাঠানো হয়েছিল। এমন ষড়যন্ত্র আমাদের রুখতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ভিন্নপথে নিয়ে যেতে চেয়েছিল হাসিনা। কিন্তু হাসিনাকেই পালিয়ে যেতে হলো। এখনো আওয়ামী লীগের লোকদের ইমান আনা উচিত। আগের মতো কালো দিন যেন না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে হাসিনা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা করতে চাচ্ছিল, আমরা মন্দিরে গিয়ে পাহারা দিয়ে তা রুখে দিয়েছি। যারা জামায়াতে ইসলামীকে সাম্প্রদায়িক শক্তি বলতো তারাই আজ জামায়াতে ইসলামীকে অসাম্প্রদায়িকতার উদাহরণ হিসেবে দেখছে।
পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, আওয়ামী লীগ ২০৪১ সালের যে স্বপ্ন দেখেছিল সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন করে দিয়েছে আমাদের ছাত্ররা। দুর্নীতি করে আওয়ামী লীগের একেকজন ধনী হয়ে গেছে, হাসিনার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে, কিন্তু ছাত্ররা চাকরিতে যে অধিকার চেয়েছিল তা না মেনে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। যারা সত্য কথা বলতো তাদেরকে দেশে থাকতে দেয়নি এই আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী সরকার। বাংলাদেশকে বৈষম্যমুক্ত করে বাংলাদেশের জনগণকে মুক্তি দিয়েছে ছাত্ররা। জামায়াতে ইসলামী চায় এমন বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে। আমাদের এই সমাজকে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ও আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদী এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ চার পরিবারের মাঝে আট লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় শহীদ মো. মামুন খন্দকার ও শহীদ আবু জাফর বাদশা মিয়া এবং ভান্ডারিয়া উপজেলার শহীদ এমদাদুল হক ও শহীদ রফিকুল ইসলাম মিঠুর স্বজনদের এই সহায়তা প্রদান করা হয়।
এমজেইউ