আসিয়ানের সদস্য হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চাইলেন ড. ইউনূস

আসিয়ানের সদস্য হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চাইলেন ড. ইউনূস

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা (আসিয়ান) সদস্য হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আসিয়ান ও সার্কের মধ্যে সেতু হতে পারে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা (আসিয়ান) সদস্য হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আসিয়ান ও সার্কের মধ্যে সেতু হতে পারে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ হাশিম তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে তিনি এ সহায়তা কামনা করেন।

হাজনাহ হাশিম বলেন, কুয়ালালামপুর আসিয়ানের পরবর্তী চেয়ার হতে যাচ্ছে এবং তিনি আসিয়ান সদস্যপদ সংক্রান্ত বিষয়ে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে অধ্যাপক ইউনূসের বার্তা পৌঁছে দেবেন।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়া অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করবে। আমরা আপনার ওপর বিশ্বাস করি। আমরা আপনাকে শুভ কামনা জানাই।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এবং মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদসহ মালয়েশিয়ার নেতাদের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করেন।

মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সম্পর্ক বাড়াতে আমরা আমাদের সেরাটা দিই।

প্রফেসর ইউনূস বলেছেন, মালয়েশিয়ার অন্তত সাতটি ইউনিভার্সিটিতে ইউনূস সেন্টার রয়েছে। সামাজিক, ব্যবসায়িক ধারণাকে প্রচার করে তিনি চ্যাম্পিয়ন এবং তার তিনটি শূন্য ধারণা রয়েছে।

হাইকমিশনার বলেন, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানির মালিকানাধীন সার্বভৌম তহবিল বাংলাদেশে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে এবং এখন শিক্ষাসহ আরও বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামভিত্তিক একটি কোম্পানির সঙ্গে গাড়ি বিতরণ ও সংযোজন করার জন্য চুক্তি করেছে।

মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার কুয়ালালামপুর মেডিকেল ট্যুরিজমের জন্য একটি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য হতে পারে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশিরা সাশ্রয়ী মূল্যে মালয়েশিয়ায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করতে পারবেন।

এমএসআই/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *