আলোচনায় না থেকেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হলেন যারা

আলোচনায় না থেকেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হলেন যারা

শেখ হাসিনার পতন পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ১৬ সদস্য বিশিষ্ট এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা পেয়েছেন ইসলামি ব্যক্তিত্ব ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনসহ আলোচনায় না থাকা বেশ কয়েকজন সদস্য। যাদের ঘিরে জনমনে তৈরি হয়েছে নানা কৌতূহল। অনেকেই তাদের নিয়ে জানতে দ্বারস্থ হচ্ছেন গুগলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন সাইটে।

শেখ হাসিনার পতন পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ১৬ সদস্য বিশিষ্ট এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা পেয়েছেন ইসলামি ব্যক্তিত্ব ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনসহ আলোচনায় না থাকা বেশ কয়েকজন সদস্য। যাদের ঘিরে জনমনে তৈরি হয়েছে নানা কৌতূহল। অনেকেই তাদের নিয়ে জানতে দ্বারস্থ হচ্ছেন গুগলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন সাইটে।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২১ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা এবং ৯টা ২৮ মিনিটে বাকি উপদেষ্টাদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।  

সুপ্রদিপ চাকমা

আলোচনায় না থেকেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হওয়াদের মধ্যে অন্যতম পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদিপ চাকমা। তিনি গত বছরের ২৭ জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব পদমর্যাদা) হিসেবে যোগদান করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে যোগদান করার পূর্বে তিনি ১৯৮৫ ব্যাচের বিসিএসের (এফএ) সদস্য ছিলেন।

এছাড়াও সুপ্রদিপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী থেকে প্রথম ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন এবং পরবর্তীকালে সচিব পর্যায়ে প্রথম চাকমা হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। দেশে-বিদেশে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে চাকরি করার পর সর্বশেষ মেক্সিকো সিটি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পদ হতে ২০২১ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

অধ্যাপক  ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

নতুন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য ওমর গণি কলেজের অধ্যাপক  ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা, মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক, বালাগুশ শরকের সহকারী সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের কুরআনিক সায়েন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অতিথি শিক্ষক হিসেবেও কর্মরত আছেন।

ফরিদা আখতার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম আকর্ষণ গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণার (উবিনীগ) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার। তিনি একাধারে একজন লেখক, গবেষক ও আন্দোলনকর্মী।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছেন ফরিদা আখতার। তার জন্ম চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার হারলা গ্রামে। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের অবস্থা জানা এবং পরিবর্তনের জন্য নীতিনির্ধারণী গবেষণা ও লেখালেখিই তার কাজের প্রধান জায়গা। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে নারী ও গাছ, কৈজুরী গ্রামের নারী ও গাছের কথা। তিনি নারী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য সম্পদ, তাঁত শিল্প, গার্মেন্টস শিল্প ও শ্রমিক, জনসংখ্যা এবং উন্নয়নমূলক বিষয়ে নিবিড়ভাবে দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ধরে কাজ করছেন।

শারমিন মুরশিদ

উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য শারমিন মুরশিদ, যিনি এই তালিকায় যুক্ত হবেন এমনটি হয়ত কেউই ভাবেননি। তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের সময় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার নানা অনিয়ম নিয়ে কথা বলেন। দেশী বিদেশি গণমাধ্যমে তার মতামত ও পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে প্রচার হয়।

সবশেষ ৭ জানুয়ারি ২০২৪ এর নির্বাচন বিষয়ে আমেরিকার একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এই নির্বাচনকে নির্বাচন বলি না।’ বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়। 

নূরজাহান বেগম

নূরজাহান বেগম নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যে দায়িত্ব তিনি পেয়েছিলেন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের শুরুর সময় থেকে অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম সারির সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বিভিন্ন দেশে মাইক্রো-ক্রেডিট প্রোগ্রামের পরামর্শদাতা, প্রশিক্ষক এবং মূল্যায়নকারী হিসেবে কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, সম্মেলন এবং সেমিনারে বক্তৃতা দিয়েছেন।

ফারুক-ই- আজম, বীর প্রতীক

তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সমন্বিত যুদ্ধাভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপটের’ উপ-অধিনায়ক ছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরে আক্রমণের জন্য ওই অভিযানিক দল গঠন করা হয়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনাকালে ফারুক-ই-আজম উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ওই সময় তিনি খুলনায় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে তিনি চট্টগ্রামে পৌঁছান।

৬ মে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের হরিণা ইয়ুথ ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। এই অবস্থায় তিনি একদিন শুনলেন, নৌবাহিনীর জন্য মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুট করা হবে। তিনি লাইনে দাঁড়ালেন। টিকে গেলেন। পলাশীতে দুই মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ১ আগস্ট অপারেশনের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়।

টিআই/এসকেডি

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *