আরইবি ব্লকেডের হুঁশিয়ারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির

আরইবি ব্লকেডের হুঁশিয়ারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির

মোট ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর দাবি বাস্তবায়নে কোনো প্রকার ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিলে আগামী ১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা জারি করে ‘আরইবি ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মোট ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর দাবি বাস্তবায়নে কোনো প্রকার ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিলে আগামী ১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা জারি করে ‘আরইবি ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বার্তায় বলা হয়, দেশের ১৪ কোটি মানুষের নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং টেকসই ও যুগোপযোগী বিতরণ ব্যবস্থা বিনির্মাণের লক্ষ্যে এ বছরের শুরু থেকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত সব কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ২ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছেন ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী।

আন্দোলনের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে সরকারের পক্ষ থেকে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলেও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ এবং সংস্কারে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিপত্তি সৃষ্টি করছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। এতে ভেতরে ভেতরে সংক্ষুব্ধ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অনাস্থা জারি করে ‘আরইবি ব্লকেড’ কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের অভিযোগ বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেমের সংস্কারসহ অন্যান্য সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু আরইবি এতে অসহযোগিতা করছে।

বার্তায় আরো বলা হয়, সমস্যা সমাধানে একটি কমিটি করা হলেও কমিটির সভায় অনুপস্থিত থেকে এবং আরইবির পক্ষ থেকে সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন না দিয়ে উল্টো বিদ্যমান কাঠামো বহাল রাখার প্রস্তাব দেয় বোর্ড।

গত ২৮ আগস্ট পবিসের প্রতিনিধির সঙ্গে চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভায় সমস্যার সমাধানে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ও সব কমিটিতে আরইবি এবং পবিসের সমান সংখ্যক সদস্য অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে নির্দেশনা দিলেও সেই নির্দেশনার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়নি।

বার্তায় পবিসের বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, দেশের ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সেবা প্রদানের জন্য ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সক্ষমতা রয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং গ্রাহক সেবা প্রদানের জন্য মধ্যস্বত্বভোগী আরইবির কোনো প্রয়োজনীয়তা বর্তমানে নেই।

মাথাভারী সংস্থা হিসেবে দেশের মানুষের উন্নত বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তিতে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী হিসেবে পরিচিত না হয়ে আধুনিক ও টেকসই বিতরণ ব্যবস্থা বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ ও পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেমকে অস্থিতিশীলকারী কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে পুনরায় আরইবি ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।

ওএফএ/কেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *