জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারী ও বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ পেয়েছি। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলেই আমরা এই দেশের নাগরিক। প্রতিটি নাগরিকের স্ব স্ব ধর্ম পালনের শতভাগ অধিকার রয়েছে। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটাই বৈষম্য।
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারী ও বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ পেয়েছি। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলেই আমরা এই দেশের নাগরিক। প্রতিটি নাগরিকের স্ব স্ব ধর্ম পালনের শতভাগ অধিকার রয়েছে। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটাই বৈষম্য।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুর্গাপূজা নিয়ে বাউফলের হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ঈদুল আজহা, ঈদুল ফিতরসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান পালনের আগে আমরা কোনো মতবিনিময় সভা করি না। তাহলে হিন্দুদের দুর্গাপূজায় কেন মতবিনিময় করতে হচ্ছে। এটাই বৈষম্য। আমরা এই বৈষম্য দূর করে যার যার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে কেবল মন্দির নয়, আমাদের জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম মসজিদেও হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আমরা ঠিকভাবে নামাজ পড়তে পারি নাই।
তিনি আরও বলেন,আমাদের সাথেও বৈষম্য করা হয়েছে। আমরা এই বৈষম্য দূর করে একটি আদর্শ দেশ গড়তে চাই। এক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়েরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ৫ আগস্টের পর জামায়াতে ইসলামী মন্দিরে মন্দিরে পাহারা দিয়েছেন। বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগামীতেও আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই। দুর্গাপূজা উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে করুন। কেউ বাঁকা চোখে তাকাতে পারবে না।
বাউফল সার্বজনীন কালীবাড়ি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অধীর রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পূজা উদযাপন পরিষদ বাউফল উপজেলা শাখার সহসভাপতি জিতেন্দ্র নাথ রায়, সাধারণ সম্পাদক অতুল চন্দ্র পাল ও বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. রফিকুল ইসলামসহ ও ৫৬টি পূজামণ্ডপের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরিফুল ইসলাম সাগর/আরএআর