বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর দেশে বিজয় এসেছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি আমরা এক সপ্তাহের একটি মুক্তিযুদ্ধ দেখলাম। আমাদের তরুণসমাজ, যুবকরা প্রাণ দিয়েছে। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের পথে এগোচ্ছি।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর দেশে বিজয় এসেছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি আমরা এক সপ্তাহের একটি মুক্তিযুদ্ধ দেখলাম। আমাদের তরুণসমাজ, যুবকরা প্রাণ দিয়েছে। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের পথে এগোচ্ছি।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ফরিদপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের মরহুম সাংবাদিক শামসুদ্দীন মোল্লা মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।
শামা ওবায়েদ বলেন, এই বিজয়কে যেন আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা করে, কাউকে ছোট করে, অপমান করে, অত্যাচার করে, নির্যাতন করে ম্লান না করি। যদি আমরা নির্যাতন করি তাহলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মৌলিক পার্থক্যই হচ্ছে বিএনপি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের দল।
তিনি আরও বলেন, এই এক সপ্তাহে আনঅফিশিয়ালি চারশোর অধিক লোক, এদের মধ্যে শিক্ষার্থী আছে, সাধারণ জনগণ আছে, পথচারী আছে, খেটে খাওয়া লোক আছে, ছোট বাচ্চারা আছে। যারা বিভিন্নভাবে প্রশাসন দ্বারা নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা এই স্বাধীনতার যুদ্ধে যাদেরকে হারিয়েছি তাদেরকে স্মরণ করছি, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, এই যে বিজয় এসেছে এটা বাংলাদেশের মানুষের বিজয়, আপামর জনসাধারণের বিজয়, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের বিজয়। ফরিদপুরে হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্ট্রান ধর্মের আমাদের যেসব ভাই-বোনরা রয়েছে তাদেরকে বিএনপির দেখে রাখতে হবে। তাদের পরিবারকে দেখে রাখাও আমাদের দ্বায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে এসে বিএনপি বাংলাদেশের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে বসে সবাইকে এই বার্তা দিয়েছেন- সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। তারেক রহমান ইতোমধ্যে ভিডিও বার্তায় বলেছেন, যদি আমরা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট করি, কাউকে অত্যাচার করি তাহলে আমাদের বিজয়টা আর বিজয় থাকে না।
শামা ওবায়েদ বলেন, গতকাল যে স্বৈরাচার ছিল সে কিন্তু তার দলের লোকজনকে ফেলে রেখে নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চলে গেছে। তার পরিবার ও সে নিরাপদ। আর যারা আওয়ামী লীগ করেছে তারা কিন্তু এখন কেউ নিরাপদ না। তাদের নিরাপত্তা কে দেবে? বিএনপি ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও দল নির্বিশেষে সবার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং দাঁড়াবে। কারও ওপর অত্যাচার-অনাচার করা যাবে না।
নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ করে তিনি আরও বলেন, আপনাদের ধৈর্য ধরতে হবে, শান্ত থাকতে হবে। মিছিল মিটিং করেন কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। কাউকে অত্যাচার-অনাচার করা যাবে না। গতকাল যেসব রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভাঙা হয়েছে এগুলো আমাদের ট্যাক্সের টাকায় করা। এগুলো ভাঙা যাবে না। এসব সম্পদ আমাদের। এগুলো শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের পয়সায় হয়নি। এসব রাষ্ট্রীয় সম্পদ। বিএনপির প্রত্যেক নেতাকর্মীকে এসব সম্পদ পাহারা দিয়ে রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে কথা বলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ুম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন প্রমুখ।
জহির হোসেন/এমজেইউ