দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরপর দুইটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। যেখানে তিনি বলতে চেয়েছেন, যে ঐক্যের জোড়ে দেশকে ফ্যাসিস্টদের কবল থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছিল আজ সেই ঐক্যের অভাবই ফ্যাসিস্টদের আনন্দের খোরাক জোগাবে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরপর দুইটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। যেখানে তিনি বলতে চেয়েছেন, যে ঐক্যের জোড়ে দেশকে ফ্যাসিস্টদের কবল থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছিল আজ সেই ঐক্যের অভাবই ফ্যাসিস্টদের আনন্দের খোরাক জোগাবে।
শনিবার মধ্যরাতে ফেসবুকে ‘একটি গীটারের কথা’ শিরোনামে দেওয়া স্ট্যাটাসে ফারুকী লেখেন, ‘ফ্যাসিস্ট জানে আপনাদের ঐক্যই তাদের দেশছাড়া করেছে। এখন আপনাদের অনৈক্য তাদের ফেরার রাস্তা যদিওবা নাও করে, অ্যাট লিস্ট আপনাদের ঝগড়াঝাটি তাদের শান্তি দিবে।’
‘আপনারা ঝগড়া করবেন আর তারা গীটার বাজাবে। আপনারা যতো বিরোধে জড়াবেন তারা ততো আনন্দে গীটার বাজাবে। এখন সিদ্ধান্ত আপনাদের আপনারা পরস্পর বিরোধী মত নিয়েও শ্রদ্ধার সাথে সহাবস্থান করবেন নাকি উনাকে গীটার বাজাতে দিবেন।’
এরপর আরেকটি স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা লিখেন, ‘বিপ্লব হ্যাজ ঠু মেনি ফাদারস নাউ! সবাই মনে করছে এই বিপ্লব তার। সুতরাং দেশটা উনি বা উনারা যেভাবে চাচ্ছে সেভাবেই গোছাতে হবে, চলতে হবে। যেটা ফ্যাসিস্ট সরকারও মনে করতো।’
এই আন্দোলনে জনগণ কোনো দলের বা বিশেষ মতাদর্শ নিয়ে যোগ দেয় নি সে কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ‘প্রিয় ভাই ও বোনেরা, ৫ আগস্ট কোন বিশেষ মতাদর্শের পক্ষে কোন ম্যান্ডেট প্রদান করে নাই জনগণ! এটা পরিষ্কার মাথায় রাখা ভালো। ৫ আগস্ট জনগণ হাসিনার দুঃশাসন থেকে মুক্তির রায় দিয়েছে।’
এখন দেশ কীভাবে চলবে এই রায় ও জনগণ দিবেন বলে তিনি লিখেন, ‘এখন যার যার যা এজেন্ডা আছে, কি ধরনের সরকার বানাতে চান, দেশটাকে কি রকম করতে চান এগুলো নিয়ে জনগণের কাছে যান। জনগণ ভোটে নির্ধারণ করবে কাদেরটার পক্ষে তারা আছে।’ সর্বশেষ তিনি লিখেন, ‘ক্লিয়ার?’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পক্ষে সরব ছিলেন এই নির্মাতা। সরকার পতনের পরেও বিভিন্ন বার্তা নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। যেখানে কেমন দেশ চান, কেমন সরকার দেখতে চান- সেই আকাঙ্খার কথা তুলে ধরেছেন।
এনএইচ