‘আন্তঃনগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়ার নিয়ম নেই’

‘আন্তঃনগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়ার নিয়ম নেই’

যাত্রার ১০ দিন আগে সকালে ঘুম থেকে উঠে কষ্ট করে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করি। যাত্রার সময় দেখা যায়, ট্রেনের ভেতর আমার সিট ঘেঁষে ২/৩ জন দাঁড়িয়ে আছে। এমন বিব্রতকর পরিবেশে ট্রেনে যাত্রা করা মুশকিল। মানুষের চাপে ওয়াশরুমে পর্যন্ত যাওয়া যায় না। আপনারা কেন ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট দিয়ে আমাদের আনন্দদায়ক যাত্রা নষ্ট করছেন?

যাত্রার ১০ দিন আগে সকালে ঘুম থেকে উঠে কষ্ট করে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করি। যাত্রার সময় দেখা যায়, ট্রেনের ভেতর আমার সিট ঘেঁষে ২/৩ জন দাঁড়িয়ে আছে। এমন বিব্রতকর পরিবেশে ট্রেনে যাত্রা করা মুশকিল। মানুষের চাপে ওয়াশরুমে পর্যন্ত যাওয়া যায় না। আপনারা কেন ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট দিয়ে আমাদের আনন্দদায়ক যাত্রা নষ্ট করছেন?

রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর কমলাপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসার্স রেস্টহাউজে রেলওয়ের ঢাকা বাণিজ্যিক বিভাগ আয়োজিত অংশীজন সভায় পূর্বাঞ্চলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজারকে (সিসিএম) সরাসরি এমন প্রশ্ন করেন ট্রেনের যাত্রী আবদুস সালাম।

এসময় সভায় উপস্থিত সবার সামনে হাসিমুখে দুঃখ প্রকাশ করেন সিসিএম মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, আসলে আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়ার নিয়ম নেই। আন্তঃনগর ট্রেনের কনসেপ্টে হচ্ছে এমন– ধরেন, ঢাকা থেকে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চট্টগ্রাম যাবে। কুমিল্লায় তার একটা ছোট্ট বিরতি হলো। এর মধ্যে পুরো সময় ট্রেনটা চলতে থাকবে। কিন্তু আমাদের এই মুহূর্তে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ আমাদের কোচের সংকট রয়েছে। যাত্রীদের অনুরোধেই আমাদেরকে একটি ট্রেনের নন-এসি কোচের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু করতে বলা হয়েছে।

মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা পুরোনো কোচগুলোকে রি-বিল্ড করে মেট্রো ট্রেনের মতো দুই দিকে সিট এবং মাঝে ধরে দাঁড়িয়ে যাওয়ার মতো কোচ তৈরি করেছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি ট্রেনে আছে। কিন্তু এই কোচগুলোর সঙ্গে বর্তমান দ্রুতগতির ট্রেনের কোচগুলো মিলছে না। দ্রুতগতির ট্রেনে কোচগুলো দিলে সেগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে। আমাদের নতুন যেসব কোচ আমদানি করার কথা আছে, সেখানে আমরা প্রস্তাব রাখব মেট্রোরেলের মতো যেন কিছু কোচ রাখা হয়।

সিসিএম বলেন, আপনাদের এ ধরনের অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমরা আরও গুরুতর অভিযোগ পেয়েছি যে অনেকে ওয়াশরুমে গিয়ে বসে থাকে। একদমই হাঁটাচলা করার জায়গা থাকে না। যতটুকু সম্ভব আমরা রিভিউ করার চেষ্টা করব এখন থেকে।

এসময় ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ বলেন, বিশেষ করে এ সমস্যাগুলো হয় ঢাকার আশপাশের স্টেশনগুলো থেকে। ধরেন কোনো একটি ট্রেন জয়দেবপুরে যাত্রা বিরতি করে ঢাকায় আসবে, জয়দেবপুর থেকে ঢাকাগামী লোকজন ওই ট্রেনে উঠে পড়ে। কারণ এই ট্রেনে এলে এক ঘণ্টার মধ্যে মতিঝিল আসার সম্ভব। বাসে সেটি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি আশপাশের সিটিগুলোর জন্য কমিউটার ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে, যাতে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রীরা অসুবিধার মধ্যে না পড়েন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. মহব্বতজান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অংশীজন সভায় রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খান, পূর্বাঞ্চলের সব রুটের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার, স্টেশন মাস্টার, সাধারণ যাত্রী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সন্দীপ দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *