ভারতের উজান থেকে আসা পানির ঢল, ভারী বর্ষণ আর উপচে পড়া নদীর পানিতে সৃষ্ট ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বাংলাদেশের ১২টি জেলা। বিপর্যস্ত হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের জীবন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আটকে পড়া বন্যাকবলিত দুর্গতদের মাঝে জরুরি মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফ্যাম।
ভারতের উজান থেকে আসা পানির ঢল, ভারী বর্ষণ আর উপচে পড়া নদীর পানিতে সৃষ্ট ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বাংলাদেশের ১২টি জেলা। বিপর্যস্ত হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের জীবন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আটকে পড়া বন্যাকবলিত দুর্গতদের মাঝে জরুরি মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফ্যাম।
স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যায় সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়া সত্ত্বেও এই সংকটটের সময় বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে অক্সফ্যাম দুর্গতদের সহায়তায় কাজ করছে। প্রদান করছে জরুরি মানবিক সহায়তা। বন্যার পানিতে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ কৃষিজমি। বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী জেলা, যেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সেবার সীমিত সুযোগের মধ্যে বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দামলে বাংলাদেশের এই বন্যা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ যতগুলো মারাত্মক বন্যার সম্মুখীন হয়েছে, এটি তার মধ্যে অন্যতম; যেখানে লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও বন্যাকবলিতদের জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদানে জরুরিভিত্তিতে আমরা বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে পাশে চাই।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অক্সফ্যাম মাঠ পর্যায়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা ব্যক্তি, সংগঠন এবং সম্প্রদায়; সকল পক্ষকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
আকস্মিক বন্যার শুরু থেকেই অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ পার্টনারদের সাথে নিয়ে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে এবং জরুরি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অক্সফ্যাম এই সহায়তা কার্যক্রমের পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যেখানে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ), নারী ও শিশুর সুরক্ষা, আশ্রয় প্রদান এবং জীবিকা সহায়তার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনগুলো পূরণ করা হবে। এগুলোর মধ্যে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী, শিশুখাদ্য, রান্না করা খাবার এবং হাইজিন কিট বিতরণ উল্লেখযোগ্য।
এমএইচএন/পিএইচ