সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে গেছেন কিন্তু অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হেফাজতে আছেন। কারা হেফাজতে আছেন তাদের নাম প্রকাশ করা হোক। তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে গেছেন কিন্তু অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হেফাজতে আছেন। কারা হেফাজতে আছেন তাদের নাম প্রকাশ করা হোক। তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সিপিডি নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন সেমিনার পরিচালনা করেছেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা দেখেছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর রাষ্ট্রীয় বাহিনী থাকেনি। দলীয় বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে গেছেন, অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হেফাজতে আছেন। কারা হেফাজতে আছেন তা জানা দরকার। কারণ যদি গ্রেপ্তার হয়ে থাকেন, তাহলে আদালতে হাজির করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যারা হেফাজতে তাদের নাম প্রকাশ করা হোক। তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আশু করণীয় হলো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা। আন্দোলনে অন্তত ৭শ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। হাজার হাজার ব্যক্তি আহত হয়েছেন। কতগুলো ফৌজদারি অপরাধ হয়েছে। এরও বিচার হওয়া দরকার। অর্থনৈতিক অপরাধ হয়েছে, তারও বিচার হওয়া দরকার। যেনতেন তদন্ত হলে চলবে না, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের সঠিক বিচার করা দরকার।
সজুনের সম্পাদক আরও বলেন, পুলিশ বাহিনীকে দলীয় থেকে সরকারি বাহিনী করা দরকার। যারা প্রাথমিকভাবে নিপীড়নের দোসর ছিল তাদের বাদ দিয়ে বঞ্চিতদের নিয়ে বাহিনীর সংস্কার করা জরুরি। আরেকটি বিষয় হলো প্রশাসন, সেখানেও সংস্কার জরুরি। পিএসসি পরীক্ষায় অনেকে উত্তীর্ণ হলেও পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে নিয়োগ আটকে দেওয়া হয়েছে। যেকোনো নিয়োগে পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। উপদেষ্টা পরিষদের সফল হতেই হবে। তারা ব্যর্থ হলে আমরাও ব্যর্থ হয়ে যাব।
সেমিনারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাস্সুম বলেন, আইনশৃঙ্খলা সবার আগে ঠিক করা দরকার। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি গোয়েন্দা বিভাগের দিকে নজর দেওয়া উচিত। আমাদের যখন নেওয়া হয়, তখন গোয়েন্দা বিভাগের দুর্নীতি নজরে এসেছে। একটা আয়নাঘরের খবর জেনেছি। গোয়েন্দা বিভাগে আর কোনো আয়নাঘর আছে কি না সেটা দেখা দরকার।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট সবচেয়ে খারাপ হাতিয়ার। ওই সময়ে অনেক জঘন্যতম অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আইটি সেক্টরে।
প্লিজ ক্যাডার বাহিনী তৈরি করবেন না– এমন আহ্বান জানিয়ে তাবাস্সুম বলেন, আমাদের এমন সিস্টেম থাকা দরকার, কোনো সরকারই যেন ক্যাডার বাহিনী তৈরি না করতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা এমন সিস্টেম তৈরি করেন যাতে কেনো দল বা সরকার ক্যাডার বাহিনী তৈরি করতে না পারে।
আরএম/এসএসএইচ