অলিম্পিকের শহরের পথে পথে : ‘তালার’ গির্জা! 

অলিম্পিকের শহরের পথে পথে : ‘তালার’ গির্জা! 

প্যারিসে অলিম্পিক কাভার করতে আসার পর থেকে অ্যানভার্সের সেকরে কৌর গির্জার কথা বেশ কয়েকবারই শুনছিলাম। গেমসের ব্যস্ততা শেষে একটু ফুরসত পাওয়ায় কৌতূহল মেটাতে ছুটলাম অ্যানভার্সের গির্জা দর্শনে। মেট্রোরেল থেকে নামতেই দেখি পাহাড়ী উঁচু পথ। 

প্যারিসে অলিম্পিক কাভার করতে আসার পর থেকে অ্যানভার্সের সেকরে কৌর গির্জার কথা বেশ কয়েকবারই শুনছিলাম। গেমসের ব্যস্ততা শেষে একটু ফুরসত পাওয়ায় কৌতূহল মেটাতে ছুটলাম অ্যানভার্সের গির্জা দর্শনে। মেট্রোরেল থেকে নামতেই দেখি পাহাড়ী উঁচু পথ। 

সেই পথ কিছুক্ষণ পার হওয়ার পর দেখা গেল পাহাড়ের অনেক ওপরে এক গির্জা। বেশ দর্শনীয়। নিচ থেকেই অনেকে ছবি তুলছেন। ধর্মীয় গুরুত্বের পাশাপাশি দর্শনীয় স্থান হিসেবেও স্বীকৃত জায়গাটি। 

মানুষ সিড়ি ভেঙে হেঁটে হেঁটে উঠছেন। গরম ও অনেক রোদ থাকায় গির্জার নিচে অপেক্ষা করলাম। পাশে দেখা মিলল ক্যাবল কার। মেট্রো পাশ থাকায় আর বাড়তি ইউরো দিতে হয়নি। সেই পাশ দিয়ে মিনিট কয়েকের মধ্যে উঠে পড়লাম উপরে। ক্যাবল কার থেকে নামতেই দেখা গেল গির্জার সামনের সিড়ি অলিম্পিক গেমসের জন্য সুসজ্জিত। গিজার সামনে দাঁড়িয়ে প্যারিস উপভোগ করা যায়। তখনো গীর্জার বিশেষত্ব চোখে পড়েনি। 

সামনে দিয়ে হাঁটতেই ভারতীয় জিজ্ঞেস করলেন, ‘তালা লাগবে তালা’। গির্জায় আবার তালা কেন? খটকা লাগল! হঠাৎ চোখ পড়ল গির্জার সামনের রেলিংয়ে। সেই রেলিং তালায় তালায় ভরপুর। শুধু উপরের রেলিং নয়, নিচের, মাঝের সকল রেলিংয়ে তালার সারি। গির্জা দর্শনের পাশাপাশি তালা লাগাতেই যেন আসেন মানুষ। 

ফরাসি ও উপস্থিত অনেকের কাছে জানা গেল তালা রহস্য। সুদীর্ঘকাল থেকে এখানে ফরাসি ও ইউরোপের অনেক যুগল এসে তালা লাগায়। এই গির্জার সামনে তালা লাগানোকে তারা বন্ধন হিসেবে মনে করেন। জুটিদের ভিড়ই থাকে বেশি। ইউরোপীয়ানদের বাইরে আর্জেন্টাইন যুগলেরও দেখা মিলল। তারাও প্যারিসে ঘুরতে এসে একটি তালা লাগিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন,’ ইন্টারনেটে দেখেছি অনেক। প্রিয় মানুষ বা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে যেন আজীবন থাকে এজন্য এখানে তালা দেয়। আমরাও দিলাম। ‘

গির্জার সামনে তালার প্রচলন হওয়ায় এখানে গড়ে উঠেছে তালার ব্যবসাও। ভ্রাম্যমাণ হকারদের ব্যবসাও রমরমা। বাইরে যে তালা ৪/৫ ইউরো সেখানে গির্জার সামনে ১০ ইউরো। 

এজেড/এফআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *