‘অর্জিত বিজয়কে টেকসই করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’

‘অর্জিত বিজয়কে টেকসই করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও গুলি করে রুখে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সংগ্রামী ছাত্র-জনতা তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়নি, বরং রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ বছরের জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটিয়েছে। তাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ ও টেকসই করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও গুলি করে রুখে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সংগ্রামী ছাত্র-জনতা তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়নি, বরং রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ বছরের জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটিয়েছে। তাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ ও টেকসই করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক ওয়ার্ড দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর কোনো নির্বাচন হয়নি, বরং ষড়যন্ত্র ও সমঝোতার নির্বাচনের মাধ্যমে কারচুপি করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা হয়েছিল। আর এ কথার সত্যতা মিলেছে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিলের আত্ম স্বীকারোক্তি থেকে। এর পরের ইতিহাস কারো অজানা নয়। ২০১৪ একতরফা তামাশা ও ভাঁওতাবাজির নির্বাচন, ২০১৮ সালের নৈশভোট এবং ২০২৪ সালে পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ষোলকলা পূর্ণ করেছিল। কিন্তু তারা দেশে সুশাসন উপহার দিতে পারেনি। সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাটের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সেক্টরকে একেবারে ফোকলা করে দেওয়া হয়েছিল। মূলত আওয়ামী লীগ দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে দেশের মানুষে ওপর নির্মম জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি, বরং তাদের অতীতের মতো লজ্জাজনকভাবে বিদায় নিতে হয়েছে। কিন্তু এখনও ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। তাই পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে একটি মানবিক ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চায়। এ কাজকে গতিশীল ও অগ্রগামী করার জন্য আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে গণমানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে সব দায়িত্বশীলকে নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করার কোনো বিকল্প নেই।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমুখ।

ওএফএ/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *