লক্ষ্মীপুর পৌরসভা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজারসহ অভ্যন্তরীণ সড়কে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হলেও অভিযানকারীরা চলে যাওয়ার পর হকার ও স্থায়ী ব্যবসায়ীরা ফের ফুটপাত দখল করে রেখেছেন।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজারসহ অভ্যন্তরীণ সড়কে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হলেও অভিযানকারীরা চলে যাওয়ার পর হকার ও স্থায়ী ব্যবসায়ীরা ফের ফুটপাত দখল করে রেখেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল থেকে দিনব্যাপী উত্তর তেমুহনী থেকে শুরু করে তমিজ মার্কেট, চকবাজার, চাল হাটা ও দক্ষিণ তেমুহনীসহ বাজারের বিভিন্ন সড়কে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এর আগে ফুটপাতে হকার বসতে নিষেধ করে মাইকিং করা হলেও তা না মানায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন উচ্ছেদ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে অভিযান শেষ করে যাওয়ার পরপরই ফুটপাত ও রাস্তা ফের দখলের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বাজার প্রধান সড়ক, ভক্তের গলি, গেঞ্জি হাটা, মাছবাজার, তমিজ মার্কেট, চকবাজার, গোস্তের বাজারসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে ফুটপাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক ও লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল হক নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
এসময় লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সচিব মো. আলা উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এতে আইনশৃঙ্খলা লক্ষ্মীপুর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক, গলিসহ বাজারগুলোতে অবৈধভাবে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। পরে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিলেও তাতে কর্ণপাত করেনি অবৈধ দখলদাররা। এ কারণে অভিযান চালিয়ে সেসব দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ এসব স্থাপনা নির্মাণকারী ও ফুটপাত দখলদারদের সতর্কও করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করেছে। কিন্তু অভিযানের কিছুক্ষণ পরপরই ফের দখল হওয়া শুরু হয়ে গেছে। এতে জনসাধারণের ভোগান্তি থেকে যাবে বলে মনে করছেন তারা।
স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক ও লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেন, লক্ষ্মীপুর শহরে ফুটপাত ও রাস্তা দখল হওয়ার কারণে যানজট লেগে থাকে। এতে জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা দেখা দেয়। এজন্য পৌর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুটপাত দখলদার হকার ও ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়েছে। কেউ পুনরায় দখল করলে স্থাপনা বাজেয়াপ্তসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/পিএইচ