সাতক্ষীরায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানে এলাকাবাসীর তোপের মুখে দৌড়ে পালিয়েছেন একটি অবৈধ ইটভাটার মালিক।
গতকাল সাতক্ষীরা শহরের বিনেরপোতা এলাকার রহমান ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটায় অভিযানে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এস এম আকাশ। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উত্তেজিত স্থানীয়দের অভিযোগ, রহমান ব্রিকসের মালিক ফরিদ রহমান ও তার বাবা আবু হোসেন মো. মোকসুদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বহু লোকজনের কাছ থেকে দাদনে টাকা নিয়েও গ্রাহককে ইট সরবরাহ করেন না। বরং ইট অথবা টাকা ফেরত চাইতে গেলে পিতাপুত্র তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তারা টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ফরিদ রহমান ও তার পিতা আবু হোসেন মো. মোকসুদুর রহমান কোনো মন্তব্য না করে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আকাশ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের লাইসেন্স আপডেট করা নেই। কোনোটাই তারা ঠিক মতো পরিচালনা করছে না। কিন্তু তারা আমাকে হাইকোর্টের একটা আদেশ দেখিয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে স্থিতাবস্থা বিরাজ করবে। স্থিতাবস্থা বিরাজ করা মানে এই না যে তারা ইটভাটা পরিচালনা করবে। এর মানে হলো আপনার ইটভাটা বন্ধ থাকবে।
তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের মাত্র দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে, এই দুই মাসের মধ্যে যদি তারা জেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নবায়ন না করে, সে ক্ষেত্রে আমরা ভাটা বন্ধ করে দেব।
এ সময়ে উত্তেজিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আইন আপনারা নিজের হাতে তুলে নেবেন না। দেশের আইন-শৃঙ্খলা আর অবনতি হতে দিয়েন না। আপনাদের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা লিখিতভাবে আমাদের কর্তৃপক্ষকে জানান। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এখানে কোনো ইটভাটা লাইসেন্স ছাড়া পরিচালনা করতে পারবে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন, আমরা কোর্টকে জানাবো যে তারা হাইকোর্টের রায়ের অপব্যাখ্যা করছে। যেহেতু এটি হাইকোর্টের চলমান একটি বিষয়, সাধারণ মানুষ হিসেবে তারা ভুল করতে পারে এখন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে আমরা তো হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করতে পারি না।
ইব্রাহিম খলিল/এনএফ