অবরোধের কারণে মেঘের রাজ্যখ্যাত সাজেক ভ্যালিতে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক।
অবরোধের কারণে মেঘের রাজ্যখ্যাত সাজেক ভ্যালিতে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক।
খাগড়াছড়িতে দুইপক্ষের সহিংসতার ঘটনায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তিন পার্বত্য জেলার সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেন বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা। এই অবরোধে সমর্থন জানায় পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
শনিবার সকাল থেকে পার্বত্য জেলাগুলোতে শুরু হয় এই অবরোধ। পাশাপাশি রাঙামাটিতে যৌথ মালিক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে।
সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল (শুক্রবার) সকাল এবং দুপুরের স্কর্ট মিলিয়ে ১১০-১১৫টি জিপ, ৫০টির মতো মাহেন্দ্রা ও সিএনজি সাজেকে প্রবেশ করেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও অনেকে এসেছেন। হঠাৎ অবরোধের ঘোষণা আসাতে পর্যটকরা আর খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ফিরে যেতে পারেননি। আজ (শনিবার) পর্যটকরা সাজেকেই কাটিয়েছেন। রোববার স্কর্ট ছাড়বে কি না নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সহসভাপতি চাই থোয়াই চৌধুরী জয় বলেন, সাজেকে বর্তমানে প্রায় ১৪০০-এর মতো পর্যটক অবস্থান করছেন। যেহেতু পর্যটকরা ফিরে যেতে পারেননি, তাই আমাদের রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পর্যটকদের থাকার খরচটি আজকের জন্য ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি আগামীকালও পর্যটকরা ফিরতে না পারেন তাহলে তাদের কাছ থেকে ৫০ শতাংশ ভাড়াই রাখা হবে।
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বলেন, অবরোধের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় পর্যটকদের কোনো গাড়ি আজ (শনিবার) ছাড়া হয়নি। পর্যটকরা সাজেকে নিরাপদে আছেন। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আয়োজিত বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার সমাবেশ থেকে এই অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
মিশু মল্লিক/এএমকে