অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, ৭ দিন পর মিলল শ্রমিকের মরদেহ

অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, ৭ দিন পর মিলল শ্রমিকের মরদেহ

পাবনার ঈশ্বরদীতে অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে সিরাজুল ইসলাম ফকির (৬৫) নামে এক শ্রমিককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের রহিমপুর এলাকায় একটি চার তলা ভবনের বাড়ির বাথরুম থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

পাবনার ঈশ্বরদীতে অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে সিরাজুল ইসলাম ফকির (৬৫) নামে এক শ্রমিককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের রহিমপুর এলাকায় একটি চার তলা ভবনের বাড়ির বাথরুম থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

নিহত সিরাজ ফকির উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কৈকুন্ডা গ্রামের মৃত জলিল ফকিরের ছেলে। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নিহতের ছোট ছেলে আল-আমিন হোসেন বলেন, ২৪ আগস্ট রূপপুর প্রকল্প থেকে কাজ শেষে ঈশ্বরদী শহরে যাওয়ার পথে আমার বাবা নিখোঁজ হয়। ওই দিন দুপুর ২টার দিকে বাবার ফোন দিয়ে আমাকে একজন বলেন- তোমার বাবা আমাদের কাছে আটক আছে। তুমি র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে কথা বলে লাভ হবে না। ১০ লাখ টাকা সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যার মধ্যে দিতে হবে। ২৬ আগস্ট রাতে আমি ঈশ্বরদী থানায় জিডি করি। এরপর বাবার ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু পাইনি। শনিবার দুপুরে জানতে পারি আমার বাবার মরদেহ রহিমপুরের শরিফুল ইসলাম বুলবুলের বাড়িতে পাওয়া গেছে। 

বাড়ির মালিক শরিফুল ইসলাম বুলবুল জানান, ২২ আগস্ট উপজেলার বড়ইচরা গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে শাহজাহান আলী (২৮) সস্ত্রীক আমার বাড়ির চারতলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। ২৭ আগস্ট একমাসের ভাড়ার টাকা দিয়ে তারা বাড়ি থেকে বাইরে চলে যান। এরপর থেকে ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ ছিল। গত দুই দিন ধরে চার তলার ওই ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ বের হতে থাকলে শনিবার সকালে আমি পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে এসে সিরাজ ফকিরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমিসহ পুলিশ সদস্যরা এসে উপস্থিত হয়েছি। প্রাথমিক তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত জানতে পারব।

রাকিব হাসনাত/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *