বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশে এখনও নির্বাচন হয়নি, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনগণের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা হবে। সেখানে দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে বিএনপির পক্ষ থেকে আহ্বান করবো একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য যেন স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশে এখনও নির্বাচন হয়নি, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনগণের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা হবে। সেখানে দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে বিএনপির পক্ষ থেকে আহ্বান করবো একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য যেন স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখি।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের সরকার নয়। এটা আন্দোলনের ফসল। যারা আজ সরকারে আছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসসহ সবাই অরাজনৈতিক। আমরা বিশ্বাস করি, তারা রাজনৈতিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে গণতন্ত্রের চলার পথকে সুগম করবেন। যতদ্রুত সম্ভব গণতন্ত্রের সূচনার জন্য একটা নির্বাচন দেবেন। সেই নির্বাচনে সব মানুষের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নতুন পথচলা শুরু হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, আমি বিশ্বাস করি- বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উপলব্ধি করতে পারবে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে তারেক রহমান দিন-রাত পরিশ্রম করে জাতিকে সংগঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আজ বিএনপির সীমানা পেরিয়ে জাতির নেতা হতে সক্ষম হয়েছেন। সুতরাং এই জাতির নেতার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে যেসব মামলা ও সাজা দেওয়া হয়েছে, সেসব মামলা প্রত্যাহার করবে সরকার। সেটা না করা হলে তা জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
বিএনপির সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আশা করি, সবার আন্দোলন-সংগ্রামকে আমলে নিয়ে এই সরকার আমাদের এসব মামলার হাজিরা থেকে রেহাই দেবে। আর যদি এসব মামলায় এখন আমাদেরকে হাজিরা দিতে হয়, তা হবে দুঃখজনক।
হিন্দুদের দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে চলমান বিভিন্ন ঘটনার প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, এখানে কিছু ঘটনাও আছে। আবার কিছু গুজবও আছে। ৫ আগস্টের পরাজিত শক্তিরা বসে নাই। তারা একটা নাশকতা করার চেষ্টা করবে। তবে, বিএনপির পক্ষ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন এলাকায় পাহারা দেবো। সেখানে বিএনপির কেউ ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক উপদেষ্টা মীর শরাফত আলী সফুসহ অনেকে।
এএইচআর/পিএইচ