বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও প্রত্যাশা ধারণ করা প্রয়োজন। ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থানের পর কর্তৃত্ববাদী দখলদারিত্বের পুরোনো রাজনীতিতে আর ফিরে যাওয়ার অবকাশ নেই।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও প্রত্যাশা ধারণ করা প্রয়োজন। ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থানের পর কর্তৃত্ববাদী দখলদারিত্বের পুরোনো রাজনীতিতে আর ফিরে যাওয়ার অবকাশ নেই।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সভাপতি খন্দকার আলী আব্বাসের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকার নবাবগঞ্জে আয়োজিত স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম এ নেতা।
খন্দকার আলী আব্বাস প্রসঙ্গে সাইফুল হক বলেন, খন্দকার আলী আব্বাস রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে দেখেননি। তার আপসহীন সংগ্রামী জীবন নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে থাকবে।
আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ সরকারের পরিণতি থেকে শিক্ষা নিতে দেশের রাজনীতিক ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই জাগরণ-অভ্যুত্থান দেশকে এগিয়ে নেওয়ার এক বিশাল সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে।
সভার আগে খন্দকার আলী আব্বাসের কবরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় সদস্য মীর রেজাউল আলম, শাহাদাত হোসেন খোকন, পার্টির ঢাকা জেলার নেতা শেখ হেলালউদ্দিন নাছিরউদ্দীন খান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আলী আব্বাস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালে ৬৬ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০০৫ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি পুনর্গঠনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এএইচআর/এসএসএইচ