অন্তর্বর্তী সরকার নেওয়া সংস্কারকাজের সময় দীর্ঘায়িত হবে বলে মনে করেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।
অন্তর্বর্তী সরকার নেওয়া সংস্কারকাজের সময় দীর্ঘায়িত হবে বলে মনে করেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘কন্যাশিশুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন উপস্থাপন’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দেড় বছরের মধ্যে সংস্কার করে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দেবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন সেনাপ্রধান। এই সময়ের মধ্যে সংস্কার করে নির্বাচন সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটা আমার জানার কথা নয়। আমার ধারণা, সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই এটা নির্ধারিত হবে। আমার এ ব্যাপারে কিছুই করার নেই।
পরে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি যে এটা দীর্ঘায়িত হবে। রাজনৈতিক দল ও সরকারের মধ্যে সংলাপ হবে। একটা রোডম্যাপ তৈরি করে তার ভিত্তিতে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত হবে।
নির্বাচন কমিশনের সংস্কারও তো এই সময়ের মধ্যে করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আপনারা কী কী সংস্কার করছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে, নির্বাচনী ব্যবস্থার সব দিক নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব এবং তার ভিত্তিতে সুপারিশ প্রণয়ন করব। এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের নয়। ৯০ দিন আমাদের সময় দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন ও জনপ্রশাসন সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনগুলো অক্টোবরের মধ্যে কাজ শুরু করবে। আর কাজ শেষে তারা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করছে সরকার। তারপর দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে আলোচনা শুরু করবে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ছয় সংস্কার কমিশনের প্রধানদের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
এমএইচএন/এসকেডি