অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে : নুর

অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে : নুর

অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে যুবঅধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনাবিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

নুরুল হক নুর বলেন, দেশের স্বার্থে যেমন সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে, তেমনি এই সরকারকেও রাজনৈতিক দল ও জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।

তিনি বলেন, দুই মাসেও পোশাক খাতের অস্থিরতা কমাতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান না করলে পোশাক খাতে বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার পুনর্বাসনের জন্য একটি চক্র এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুবঅধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা হলো—

১। সব ধরনের বৈষম্যমুক্ত চাকরি ও কর্মসংস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতি বছর নিয়মিত বেকারত্বের জরিপ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করতে হবে।

২। শিক্ষার সর্বস্তরে চাহিদাভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আইসিটি সেক্টরে তরুণদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৩। সব প্রকার চাকরিতে আবেদন ফি, অবৈধ সুপারিশ, যেকোনো জামানত ও বয়সসীমা মুক্ত চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। ঘুষ ও দুর্নীতির মতো অসদুপায়ে নিয়োগের সব প্রক্রিয়া বন্ধ এবং সরকারি-বেসরকারি চাকরির বৈষম্য অবসান ঘটাতে হবে।

৪। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণকেন্দ্র তৈরি এবং স্থানীয় উৎপাদন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। তরুণদের সম্পৃক্ত করে দেশের স্থানীয় উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।

৫। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সনদ জামানতে সুদবিহীন ঋণ প্রদান, শিক্ষিত ও শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ঝরে পড়াদের এই আওতায় আত্মকর্মসংস্থানের অগ্রাধিকার দিতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দেশের মোট ঋণ প্রদানের ৫০% ঋণ প্রদান করতে হবে। কর্ম ও ঋণ আওতার বাইরে সব তরুণদের প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেকার ভাতা প্রদান করতে হবে।

৬। দেশের সকল প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে শতভাগ চাকরি ও কর্মসংস্থানের আওতায় আনতে হবে। চাকরি ও কর্মসংস্থানের আওতার বাইরে থাকাদের উপযুক্ত পরিমাণ ভাতা প্রদান করতে হবে।

৭। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষিতদের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে বা সুদমুক্ত ঋণসুবিধার আওতায় বিদেশে প্রেরণ করতে হবে। বিদেশে তরুণদের জন্য যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে অবাধ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। তাদের দেশে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাস গমনে তৃতীয় পক্ষের দৌরাত্ম্য অবসান, প্রবাসে সকল চিকিৎসা, দেশের দূতাবাসগুলো প্রবাসী বান্ধব ও দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। প্রবাসীদের প্রবাসে থাকা অবস্থায় সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ভোট প্রদানের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশ প্রেরণের প্রতিটি স্তরে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক (ভিআইপি) মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।

এমএসআই/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *