মনজুরুল আলম মুকুল
বহুদিন আগে থেকেই বাংলায় একটা বাক্য প্রচলিত আছে ‘লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন’। সুবর্ণবণিক সম্প্রদায়ের সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী গৌরীকান্ত সেন মূলত গৌরী সেন নামে পরিচিত। অধিক গ্রহণযোগ্য মত অনুযায়ী, তিনি পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার বালী শহরের মানুষ। আবার অনেকে বলেন, তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরের মানুষ।
নন্দরামের সাত সন্তানের সবার ছোট গৌরী সেন সামান্য পুঁজি নিয়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সে কলকাতায় ব্যবসা শুরু করেন। তার ছিল মোটা কাপড়, শস্য, তেল ও রাংতার ব্যবসা। সততা ও বুদ্ধির জোরে ব্যবসায় খুব তাড়াতাড়ি তিনি ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি করেন এবং বণিকসমাজে প্রসিদ্ধ হন।
তিনি ছিলেন বৈষ্ণব চরণ শেঠের ব্যবসার অংশীদার। জনশ্রুতি আছে, তারা দুজনে মিলে একবার ডুবে যাওয়া জাহাজের দস্তা নিলামে কেনেন, পরে দেখা যায় আসলে দস্তার নিচে রুপা ছিল। সেই রুপা বিক্রি করে তিনি রাতারাতি প্রচুর টাকার মালিক হন। সব মিলিয়ে তার বিপুল পরিমাণে আয় ছিল।
সেকালে জমিদারদের ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত মানুষের জেলে থাকতে হতো এবং অনেকের জেলেই মৃত্যু হতো। এ অবস্থায় গৌরী সেন তাদের ঋণমুক্ত করতেন, তিনিই ছিলেন তাদের ত্রাণকর্তা। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতামাতার জন্য, টাকার অভাবে চিকিৎসা হতে পারছেন না, এমন ব্যক্তি বা অসহায়দের জন্য তার দরজা ছিল সব সময় খোলা। যে কারণে গোটা বাংলায় এক সময় তার নাম ছড়িয়ে পড়ে।
মানুষ সমস্যায় পড়লে তার কাছে ছুটে যেত, আবার সমস্যায় পড়া মানুষ দেখালে সবাই তার কাছে ঠেলে পাঠাতো। তবে, এক সময় দেখা যায়, অনেক মানুষ মিথ্যা বলে টাকা নিয়ে অপব্যবহার ও ফুর্তি করত। তবে, তিনি কাউকে ফেরাতেন না, কেউ চাইলেই টাকা দিতেন। যে কারণে লোকমুখে প্রচলিত হয়ে ওঠে ‘লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন’ এবং এক সময় কথাটি প্রবাদ হয়ে ওঠে। কিন্তু বাঙালির একটা চরিত্র আছে, যখন যে উন্মাদনা ধরে, তার ১২টা না বাজা পর্যন্ত ক্ষান্ত হয় না।
শেষ পর্যন্ত দানের সেই জায়গাটা নষ্ট হয়ে যায়। জানা যায়, গৌরী সেনের মৃত্যুর পরও তার পরিবারের লোকজন মানুষের টাকা দেওয়া অব্যাহত রাখে এবং বড় ব্যবসায়ীর খেতাব হারিয়ে সাধারণ পরিবারে পরিণত হয়ে এক সময় হারিয়ে যায়।
অনেকের মতে, গৌরী সেন নামে কেউ ছিল না, এটি একটি রূপক নাম। অনেক সময় সমাজের নানা দিক তুলে ধরার জন্য এই ধরনের অনেক প্রবাদ-প্রবচন ব্যবহার করা হয়। যাই হোক, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অনেক মানুষের দাবি-দাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন একটি বিষয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
দেশের বিভিন্ন ধরনের মানুষের বিভিন্ন ধরনের দাবি-দাওয়া নিয়ে তিনি বেশ সমস্যায় আছেন। অর্থাৎ, নানা মানুষ নানা দাবি। দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি ও জাতির উদ্দেশ্য দেওয়া দুইটি ভাষণ থেকে সেটা উপলব্ধি করা যায়। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বা বিপ্লবে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে গেলে এক সংকটময় অবস্থার সৃষ্টি হয়।
দেশের এমন টালমাটাল অবস্থায় ছাত্র-তরুণদের অনুরোধে হাল ধরতে রাজি হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে, তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রথম থেকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সংকটসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তবে, প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে নানা ধরনের দাবি-দাওয়া। এগুলোর কারণে অনেক অসন্তোষ ও সহিংসতার প্রকাশ ঘটছে এবং নানা ধরনের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
গণঅভ্যুত্থানের মূল ভূমিকায় ছিল ছাত্র ও তরুণ সমাজ। কোটা আন্দোলন ও পরবর্তী গণঅভ্যুত্থানকে ঘিরে প্রায় এক হাজার লোক নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগ ছাত্র, চাকরিপ্রত্যাশী, তরুণ ও শিশু-কিশোর। তারা আজ পৃথিবীতে নেই। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাদের ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
তাছাড়া ছাত্ররা দীর্ঘকাল রাজপথে থাকবে না এবং এমনটাও আশা করাও ঠিক নয়, তাদের পড়াশোনায় ফিরে যেতে হবে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য ‘লাইনঘাট, ‘সিস্টেম’ আর ‘মামু খালুর’ সন্ধানে ব্যস্ত থাকতে হয়।
স্বাধীনতার এত বছর পর স্বচ্ছ ও প্রশ্নহীন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে না পারাটাই জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এমন একটা স্বচ্ছ ও প্রশ্নহীন ব্যবস্থার প্রয়োজন, যার ওপর তরুণরা আস্থা স্থাপন করতে পারে। পড়াশোনা বা যোগ্যতা থাকলে চাকরি হবে, তা না হলে নয়, এমনটাই জাতির জন্য কল্যাণকর। এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করা এই সরকারের প্রধান কাজ।
শুধু নিয়োগ প্রতিষ্ঠান নয়, দেশের সব প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ধ্বংস হতে যাচ্ছিল। কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর এদেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ছিল না। পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, নির্বাচন কমিশন সবখানে একই অবস্থা। বিগত দিনে লক্ষণীয়, কিছু মানুষ অতি দ্রুত সময়ে দুর্নীতি আর অপকর্ম করে অঢেল ধনসম্পদ ও টাকা-পয়সার মালিক হয়েছে, আবার অনেকে বিদেশে পাচার করেছে। এমন অবস্থায় এই সরকারের কাছে সবার প্রত্যাশা দেশের সবকিছু স্বাভাবিক করা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেশে একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারার যাত্রা শুরু করা।
তবে, এই সরকারের প্রথম দিন থেকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, নানা মানুষের নানা ধরনের দাবি-দাওয়া। অনেকের দীর্ঘদিনের না পাওয়ার একটা বেদনা রয়েছে। বিপ্লবের পর অনেক বঞ্চিতরা প্রত্যাশা করছে হয়তো এবার তাদের আশা পূরণ হবে। তবে, যৌক্তিক-অযৌক্তিক, সময়-অসময়ের নানা দাবির মুখে সরকার যেন দিশেহারা না হয়ে পড়ে সেটাও খেয়াল রাখার বিষয়।
লক্ষণীয়, মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ গ্রহণের পর বিভিন্ন সরকারি, আধাসারকারি ও বন্যা পরবর্তী সময়ে স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও আদালতে চরম অস্থিরতা বিরাজ করে। পদোন্নতি ও সুযোগসুবিধা বঞ্চিতরা একযোগে সবাই মাঠে নেমে পড়ে। এখনই চাই, আর দেরি নয়। গণহারে পদোন্নতি, নিয়োগ হয়েছে।
বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ও অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমে পড়ে এই দাবিতে এখনই তাদের চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে ও চাকরি স্থায়ী করতে হবে; এখনই স্বাক্ষর করুন, এখনই প্রজ্ঞাপন জারি করুন। এমনও ঘটনা ঘটেছে, রাতভর সচিবালয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আটকে রাখা হয়েছে, হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রে মেধার বিষয়টি চাপা পড়ে যায়, যা ছিল বিপ্লবের প্রধান চেতনা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপন্থী।
প্রথম ধাক্কাটা আসে পুলিশ বাহিনী থেকে। নিরাপত্তাসহ নানা দাবিতে তারা সবাই একযোগে কর্মস্থল ত্যাগ করলেন। পুলিশ বাহিনী ছাড়া দেশ চালানো যে অনেক কঠিন সেটা পুলিশবিহীন কয়েকদিন অবস্থা থেকে বোঝা যায়। অথচ, রাষ্ট্রের এই অবস্থার জন্য কতিপয় অপেশাদার পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের দায় আছে, এটা কোনোভাবেই এড়ানো যায় না। যাই হোক, সরকার তাদের অনেক বুঝিয়ে, কিছু দাবি-দাওয়া পূরণ করে কাজে যোগদান করালেন।
এরপর দাবি-দাওয়া আদায়ে মাঠে নামলেন গ্রামপুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। এক সময় গ্রাম পুলিশের সদস্যরা কাজে ফিরলেও, মরিয়া হয়ে উঠে কয়েক হাজার অঙ্গীভূত আনসার সদস্য। তাদের অনেক দাবি সরকার মেনে নিলেও তারা জাতীয়করণের দাবিতে সহিংস পথ বেছে নেয়। রাতভর সচিবলায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, উপদেষ্টা, ছাত্র প্রতিনিধি ও অন্যান্যদের আটকে রাখে। এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতা ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এই ঘটনায় একজন মারা যায় এবং অসংখ্য লোক আহত হয়।
এক পর্যায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। দেখা যায়, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা, ধর্মীয় সম্প্রদায়, গোষ্ঠী ও পেশার লোকজন বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও শাহবাগে অবস্থান নেওয়া শুরু করে। এক পর্যায় সচিবালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হতে থাকে। মেট্রোরেল, বিদ্যুৎ বিভাগ ও সচিবালয়ের অভ্যন্তরেও অনেক ঝামেলা হয়েছে।
এমন যখন অবস্থা তখন প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছেন, ‘আমাদের আবাস ও কর্মস্থলের আশপাশে ঘেরাও কর্মসূচি না দিয়ে, আমাদের কাজ করতে দিন। আপনারা আমাদের প্রতিপক্ষ নন। কারো যদি কোনো দাবি থাকে, তাহলে লিখিতভাবে দিয়ে যান, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব।’ ডিএমপি সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় মিছিল-মিটিং ও যে কোনও ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
কিন্তু এসব এলাকায় কমলেও দাবি-দাওয়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা অস্থির হয়ে উঠছে। গাজীপুর, নরসিংদী, সাভারসহ অনেক শিল্পাঞ্চল অস্থির হয়ে উঠেছে। অসন্তোষ ও সহিংসতার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক ফ্যাক্টরি। ঔষধ শিল্প মালিকারা জানান, স্বাধীনতার ৫৩ বছর ধরে তারা ঠিকঠাকভাবে উৎপাদন করে আসছে, শ্রমিকদের কোনও সময় আন্দোলনে যেতে হয়নি। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন দাবির কারণে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে এবং তাদের অনেক ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়, গোষ্ঠী ও মতাদর্শের লোক বাস করে। এক্ষেত্রে বিভিন্নজন বিভিন্ন দাবি নিয়ে আসছে। এক শ্রেণীর লোক সারা দেশ থেকে সুফি মাজারগুলো ভেঙে দেওয়ায় দাবি তুলেছে। শুধু দাবি করেই তারা বসে নেই, দেশব্যাপী সুফি মাজারগুলোয় হামলা চালিয়ে সহিংসতা করে যাচ্ছে। অনেকে আবার খেলাফতের দাবিতে কর্মসূচি দিচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যানারে শাহবাগ থেকে দুর্গাপূজার ৫ দিনের সরকারি ছুটিসহ ৮ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। যার অনেকগুলো দাবি রাজনৈতিক সরকার ছাড়া পূরণ করা সম্ভব না।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন ধরনের দাবি উপস্থাপন করেই চলেছেন। অনেকে দাবি তুলেছে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের। যদিও এ বিষয়ে একজন উপদেষ্টা বলেছেন, তাদের কাজ নির্বাচন কমিশনসহ প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে একটা নির্বাচনের দিকে যাওয়া, এসব বিষয় তাদের মাথায় নেই। তারপরও থেমে নেই বাঙালির বিতর্ক, পক্ষে বিপক্ষে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো।
বাতাসে এখনো লাশের গন্ধ আছে। সরকার এখনো গুছিয়ে উঠতে পারেনি এমন অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে দাবি নিয়ে বিশৃঙ্খলা ঘটানো খুবই দুঃখজনক। এমনিতেই, কিছু লোক চাঁদাবাজি, লুটপাট ও মাঠ-ঘাট দখলের চেষ্টা করছে। কেউ কেউ নীরবে, নিভৃতে প্রশাসন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব জায়গায় নিজেদের লোক বসানোর কাজে ব্যস্ত। অনেকে অবৈধ আয়ের খাতগুলো দখলে নিচ্ছে।
বিপ্লবের পর একটা প্রতিবিপ্লবের বিষয় আছে। বিরোধী শক্তি বিপ্লব ব্যর্থ করার জন্য গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করে, মরিয়া হয়ে ওঠে। দেশে দেশে বিপ্লবের পর বারবার এমনটাই ঘটেছে। এই বিপ্লব আবার যেন অন্যদিকে না যায় বা বেহাত না হয়, সেটারও একটা বিষয় আছে। পৃথিবীর বহু দেশের বিপ্লব বেহাত হওয়ার দৃষ্টান্ত আছে।
অনেকের মতে, দেশে বিগত দিনে অনেক ঘটনার কারণ মূলত সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব। কার্যকর সংসদ ও বিরোধী দল থাকলে এমনটা নাও হতে পারত। স্বচ্ছ প্রতিষ্ঠান না গড়ে, সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চা না করে, দেশে অসন্তোষ রেখে উন্নয়ন করলে তা কখনো টেকসই হয় না। জনতার বিক্ষোভের প্রবল আঘাতে এক সময় তাসের ঘরের মতো ভেস্তে যায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তাই এই সরকারের কাছে সবার প্রত্যাশা, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেশে একটি গণতান্ত্রিক ও ক্ষমতা হস্তান্তরের সুস্থ ধারার যাত্রা শুরু করা। তাই সবার উচিত এই সরকারের আসল কাজটি করতে দেওয়া, তা না হলে বাংলাদেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে গেলে দাবি আদায়ের পরিবেশ টুকুও হয়তো থাকবে না।
মনজুরুল আলম মুকুল ।। গণমাধ্যমকর্মী