ফেনী পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক বাতিতে মিটার ছাড়াই অনুমান নির্ভর বিদ্যুতের বিল করেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। সংরক্ষণের অভাবে মিটার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এভাবে বিল করা হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ফেনী পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক বাতিতে মিটার ছাড়াই অনুমান নির্ভর বিদ্যুতের বিল করেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। সংরক্ষণের অভাবে মিটার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এভাবে বিল করা হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ফেনী পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে মিটার রিডিং ছাড়াই অনুমান নির্ভর বিদ্যুৎ বিল করা হচ্ছে। তবে পৌরসভার সড়ক বিভাজকে ব্যবহৃত ৪০০ লাইটের বিল করা হতো পাঁচটি মিটারের মাধ্যমে। ডিজিটাল যুগে অনুমান নির্ভর বিলের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন পৌর নাগরিকরা।
পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত ২০১৬ সালের এক তথ্যে দেখা যায়, ফেনী পৌর এলাকায় ২ হাজার ৩৬৬টি টিউব ও এনার্জি লাইট ব্যবহার করা হতো। ওই বছর বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছিল ৬০ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭৭ টাকা। ২০১৮ সালে প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল করেন।
বিপিডিবির ফেনী অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌরসভায় ২০১১ সালে ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৮ টাকা, ২০১২ সালে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮৫৮ টাকা, ২০১৩ সালে ২৪ লাখ ৩০ হাজার ৯৩ টাকা, ২০১৪ সালে ৪২ লাখ ৩১ হাজার ৪১৮ টাকা ও ২০১৫ সালে ৫৭ লাখ ৪ হাজার ৫৭৬ টাকা বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে ফেনী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হিরণ বলেন, বর্তমানে পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়ক আলোকিত করতে ৩ হাজার ৪০০টি টিউব ও এনার্জি লাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ যৌথভাবে সার্ভে করে মাসিক বিল তৈরি করা হয়।
অনুমান নির্ভর বিল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্ট্রিট লাইন না হওয়ায় এভাবে বিল করা হচ্ছে। অনেক সময় অতিরিক্ত বিল হয়ে গেলে বিপিডিবির সঙ্গে আলোচনা করে বিল নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে পৌরসভার ৬০ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিপিডিবি ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মাহমুদ শামীম ফরহাদ বলেন, সংরক্ষণের অভাবে মিটার লাগালে নষ্ট হয়ে যায়। তাই পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যুৎ বিল করা হয়। সড়কে একটি লাইট কতটুকু জ্বলে তার পরিমাণ হিসেব করে বিল তৈরি হয়।
তারেক চৌধুরী/এমএসএ