ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নারী শিক্ষার্থীদের হল নির্মাণ এবং ৭ কলেজ অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নারী শিক্ষার্থীদের হল নির্মাণ এবং ৭ কলেজ অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ‘৭ কলেজ অধিভুক্তি বাতিল চাই আন্দোলন’ ব্যানারে তারা এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘শুনো ভাই, শুনো বোন, ঢাবির কোনো শাখা নাই’; ‘ওয়ান টু, থ্রি, ফোর, এফিলিয়েয়েড নো মোর’; ‘৭ কলেজের ঠিকানা, ঢাবিতে হবে না’; লাগাও তালা, বাঁচাও ঢাবি’ স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যদি একটি ইটের গাঁথুনি হয় তবে সেটা মেয়েদের হলের জন্য হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা আবাসন সংকটে ভুগছে দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু বিগত কয়েকটি প্রশাসন তাদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে পারেনি। ফলে মেয়েরা গণরুমে মানবেতর জীবন কাটায়। এখনো প্রথম বর্ষের সকল মেয়ে হলে সিট পায় না। অনেকে তৃতীয় বা চতুর্থ বর্ষে গিয়ে সিট পায়৷ তাই আমরা অনতিবিলম্বে আমরা মেয়েদের জন্য হল নির্মাণ করার দাবি জানাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান ফেরদৌস বলেন, ৭ কলেজের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং পিছিয়ে যাচ্ছে। ঢাবির বুকে ৭ কলজে কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা অতি দ্রুত তাদের অধিভুক্তি বাতিল চাই।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ২০১৯ সালে ৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। আমরা প্রায় সফলও হয়েছিলাম। ঠিক তখন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ আমাদের উপর হামলা করে আমাদের অনেক শিক্ষার্থীকে আহত করে। ফলে আমরা আন্দোলন শেষ দিকে এসেও সফল হতে পারিনি। কিন্তু আমরা এবার আন্দোলন ছেড়ে যাবো না। ৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের আগে আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না।
তারা বলেন, তৎকালীন উপাচার্য তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তাদের সাথে আমাদের সার্টিফিকেটের রঙের পার্থক্য থাকবে এবং তাদের সার্টিফিকেটে ‘অ্যাফিলিয়েটেড’ লেখা থাকবে। এসব বলে আমাদের সামনে তিনি মুলা ঝুলিয়েছিলেন। আমাদের গলায় কাটা বেঁধে রেখেছিলেন। এখনও আমাদের এই আন্দোলন দমানোর জন্য অনেকেই নেগোসিয়েশন করতে আসবে। আমাদের বিভিন্ন কিছু বুঝানোর চেষ্টা করবে কিন্তু আমরা সেটা মেনে নেবো না৷ আমরা ৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করেই রাজপথ ছাড়বো।
কেএইচ/এমএসএ