৪১ বছরের ইতিহাস বদলের সুযোগ বাংলাদেশের সামনে

৪১ বছরের ইতিহাস বদলের সুযোগ বাংলাদেশের সামনে

২৩ টেস্টে মাত্র তিন হার। জয় ৭ ম্যাচে। আর ড্র হয়েছে ১৩ ম্যাচ। কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে ভারতের রেকর্ড। ঠিক এমনই। ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য ভারত কানপুরে যেন আরও বেশি শক্তিশালী। আর সেখানেই রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। চলতি মাসের ২৭ তারিখ থেকে শুরু হবে সিরিজের ২য় টেস্ট। 

২৩ টেস্টে মাত্র তিন হার। জয় ৭ ম্যাচে। আর ড্র হয়েছে ১৩ ম্যাচ। কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে ভারতের রেকর্ড। ঠিক এমনই। ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য ভারত কানপুরে যেন আরও বেশি শক্তিশালী। আর সেখানেই রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। চলতি মাসের ২৭ তারিখ থেকে শুরু হবে সিরিজের ২য় টেস্ট। 

ভারতের উত্তর প্রদেশের এক স্থানীয় গণমাধ্যমের ভাষ্য, কানপুরে বাংলাদেশ টেস্টের কথা মাথায় রেখে ৩টি উইকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। সম্ভাবনা আছে খেলা হবে ৫ নম্বর উইকেটে। ক্রিকইনফো জানিয়েছে এই ম্যাচে পিচের ক্ষেত্রেও আসছে ভিন্নতা। চেন্নাইয়ের মতো লাল মাটির পিচে খেলা হচ্ছে না এবারে।

বাংলাদেশকে ভারত আটকাতে চায় নিজেদের চিরচেনা কালো মাটিতেই। যেখানে পেসারদের তুলনায় স্পিনাররাই ব্যাটারদের ওপর রাজত্ব করবেন। গ্রিন পার্কের এই পিচটিতে চেন্নাইয়ের লাল মাটির বদলে কালো মাটি থাকবে। বাউন্স বেশি হবে না এবং বল বেশি ক্যারি করবে না। এটা প্রত্যাশিত যে গ্রীন পার্কের পিচ চেন্নাইয়ের পৃষ্ঠের তুলনায় কিছুটা ফ্ল্যাট হবে এবং টেস্টের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বাউন্সও কমবে।

বোঝাই যাচ্ছে, স্পিনারদের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে আটকানোর পূর্ববর্তী ছকেই ফিরতে চাইছে ভারত। ভারত ২০২১ সালে শেষবার কানপুরে টেস্ট আয়োজন করে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই টেস্টে ভারতীয় দল অশ্বিন, জাদেজা এবং অক্ষরের স্পিন ত্রয়ী নিয়ে মাঠে নেমেছিল। ২০১৬ সালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টিম ইন্ডিয়া সহজ জয় পেলেও ২০২১ সালে, নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা ম্যাচ ড্র করেছিল।

সবমিলিয়ে ভারত এই মাঠে টেস্ট হারেনি ১৯৮৩ সালের পর থেকে। ৮৩ সালে ভারত সফরে এসে স্বাগতিকদের কানপুরে হারিয়েছিল সেসময়ের ক্রিকেট পরাশক্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০২১ সালের আগের তিন টেস্টেই আবার ভারত জয় পেয়েছিল এই মাঠে। 

সেই হিসেবে বাংলাদেশের সামনেও সুযোগ থাকছে কানপুরে নতুন কিছু করে দেখানোর। কালো পিচের উইকেটে খেলেই মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিপক্ষকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ভারত কঠিন প্রতিপক্ষ হলেও তাদেরকে হারানোর মতো প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর সামনে। বিশেষ করে টাইগাররা নিজেরাই স্পিন নির্ভর দল হওয়াতে পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে থাকার আশা করা যেতেই পারে। 

যদিও সেই স্বপ্ন পূরণ করা বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই কষ্টের। চেন্নাই টেস্টই প্রমাণ করে দিয়েছে দুই দলের শক্তিমত্তার বিশাল পার্থক্য। ভারতের বিপক্ষে ফলো-অনেই পড়েছিল বাংলাদেশ। যদিও শেষ পর্যন্ত ইনিংস হারের লজ্জাতে আর পড়তে হয়। বড় রানের টার্গেট দিয়েই টাইগারদের বিধ্বস্ত করেছিল রোহিত শর্মার দল। 

জেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *