গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কিছু সুযোগসন্ধানী দুষ্কৃতকারী খুলনা বেতার কেন্দ্রে ঢুকে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। অগ্নিসংযোগের ফলে বেতার কেন্দ্রের অবকাঠামো, সম্প্রচারের সঙ্গে যুক্ত যন্ত্রপাতিসহ সব কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কিছু সুযোগসন্ধানী দুষ্কৃতকারী খুলনা বেতার কেন্দ্রে ঢুকে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। অগ্নিসংযোগের ফলে বেতার কেন্দ্রের অবকাঠামো, সম্প্রচারের সঙ্গে যুক্ত যন্ত্রপাতিসহ সব কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া খুলনা বেতার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরে খুলনা বেতারের সম্মেলন কক্ষে বেতার ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মহাপরিচালক এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভার প্রথমে ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সভায় আগামী তিনদিনের মধ্যে একটি বা দুটি কক্ষ সংস্কার করে বা অন্য স্থান থেকে সম্প্রচার শুরু, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুলনা বেতারকে আগের স্থানে ফিয়ে আনার জন্য বিদ্যমান ভবনগুলো দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার উপযোগিতা পরীক্ষা করা, নতুন ভবন ও স্টুডিও নির্মাণ, নিরাপত্তার স্বার্থে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া ও রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে নিদের্শনা দেন মহাপরিচালক।
পরিদর্শনের সময় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, বেতারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) মো. ছালাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (বার্তা) এ এস এম জাহীদ, প্রধান প্রকৌশলী (রুটিন দায়িত্ব) মুনীর আহমদ, পরিচালক মো. বশির উদ্দিন, সিনিয়র প্রকৌশলী মো. শাহজাদা সেলিম, খুলনা বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য্য, গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেডএস