চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দাহ্য ও বিপজ্জনক পণ্যের চারটি কন্টেইনার খালাস করা হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দাহ্য ও বিপজ্জনক পণ্যের চারটি কন্টেইনার খালাস করা হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চলতি মাসের শুরুতে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায় ওইসব কন্টেইনার দ্রুত সরানো না হলে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থা লেবাননের বৈরুতের মতো হতে পারে। এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে এটি দ্রুত নিস্পত্তির হস্তক্ষেপ চান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান। এরপর গত ২৭ অক্টোবর কন্টেইনারগুলো নিলাম দরদাতার কাছে খালাস দেওয়া হয়।
সম্প্রতি এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে চবক কর্মকর্তারা চার কন্টেইনার ৯৩ মেট্রিক টন অতি দাহ্য পণ্য নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া, বন্দর কর্তৃপক্ষ একাধিকবার কমিশনারকে পত্র দেন এবং সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে এনবিআরে চিঠি দেন।
এনবিআর আরও জানায়, কমিশনার কাস্টম হাউস চট্টগ্রাম নিলাম কমিটির সঙ্গে জরুরি সভা করে চালানটি নিলাম প্রক্রিয়ায় খালাসে জটিলতা চিহ্নিত করেন। জানমালের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে এনবিআর চেয়ারম্যান কমিশনার ও বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে এ নিয়ে টেলিফোনে কয়েক দফা কথা বলেন। নিলাম দরদাতাকে সম্পৃক্ত করা হয়। অবশেষে ৪১ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করে নিলাম দরদাতা মেসার্স এস এ ট্রেডিং অ্যান্ড কোং-কে পণ্যের চালানটি খালাস দেওয়া হয়।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, অতি দাহ্য ও বিপজ্জনক পণ্যের চালানটি খালাসের ফলে বন্দরের দীর্ঘদিনের দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে। কাস্টমস ও বন্দরের ভেতরে স্বস্তি বিরাজ করছে। ১৪ বছরের অনিষ্পন্ন কার্গো জটিলতার বেড়াজাল ভেঙে এক মাসের কম সময়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ খালাস দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
আরএম/এমজে