ইসরায়েলের বিমান হামলায় হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর হিজবুল্লাহর দায়িত্ব কে নেবেন সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর পরবর্তী প্রধানের দায়িত্ব নিতে পারেন হাসিম সাফিউদ্দীন।
ইসরায়েলের বিমান হামলায় হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর হিজবুল্লাহর দায়িত্ব কে নেবেন সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর পরবর্তী প্রধানের দায়িত্ব নিতে পারেন হাসিম সাফিউদ্দীন।
গতকাল শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে চালানো বিমান হামলায় প্রাণ হারান নাসরুল্লাহ।
হিজবুল্লাহর একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া হাসিম সাফিউদ্দীনকে নতুন সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দেখা যেতে পারে।
কে এই হাসিম সাফিউদ্দীন?
হাসিম সাফিউদ্দীন হিজবুল্লাহর নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান। তিনি হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক দিকটি দেখেন। এছাড়া জিহাদ কাউন্সিলের সঙ্গেও যুক্ত আছেন তিনি। এই জিহাদ কাউন্সিল হিজবুল্লাহর সামরিক অভিযানগুলো পরিচালনা করে থাকে।
হাসিম সাফিউদ্দীনের আরেকটি পরিচয় হলো তিনি নাসরুল্লাহর দূরসম্পর্কের ভাই। তিনি একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বও। এছাড়া তিনি নিজেকে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর খুব কাছের বংশধর হিসেবেও দাবি করেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হাসান নাসরুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক, শারীরিক গঠন একইরকম, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং মহানবীর বংশধর হওয়ায় তার উপরই হিজবুল্লাহর দায়িত্ব আসতে পারে।
হাসিম সাফিউদ্দীন সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে থাকেন। এর প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাকে তাদের ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় যুক্ত করে। গত জুনে সাফিউদ্দীন ইসরায়েলকে কঠোর যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিলেন।
এদিকে ইরানের সহযোগিতায় ৪২ বছর আগে লেবাননে জন্ম হয়েছিল হিজবুল্লাহর। দলটির সাবেক প্রধানকে ১৯৯২ সালে হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিল ইসরায়েল। এরপরই হিজবুল্লাহর দায়িত্ব নিয়েছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ। কিন্তু ইসরায়েলের হামলাতেই গতকাল শুক্রবার নিহত হয়েছেন তিনি।
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই