স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বেছে নিন
হার্ট ভালো রাখার বিকল্প নেই। কারণ একবার এর কাজ বন্ধ হলেই আপনার ঠিকানা হবে পরপারে। শুধু বয়স্কদের ক্ষেত্রেই নয়, হার্টের প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন সব বয়সীদেরই। হৃদরোগের কারণে প্রতি বছর মৃত্যুর ঘটনা কম নয়। তাই হার্টের যত্ন নিতে জানতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে অনেক বিষয়ে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ক্ষতিকর কোলেস্টেরল। তাই নিয়মিত কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করার মাধ্যমে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হতে পারে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে হৃদযন্ত্র ভালো রাখা সহজ হয়। বয়স ১৮ হওয়ার পর থেকেই এই পরীক্ষা নিয়মিত করানো উচিত। এতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওযার ঝুঁকি কমবে।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বেছে নিন
সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের বিকল্প নেই। এতে হৃদরোগ সহ অন্যান্য রোগও দূরে থাকবে। পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক সব খাবার। কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত সুষম খাবার রাখতে হবে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়। রুটিন মেনে এভাবে খাবার খেলে হৃদরোগ দূরে থাকবে।
ওষুধ
জীবনযাপনের ধরনে পরিবর্তন আনার পরও অনেক সময় ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধ খেতে হবে নিয়মিত। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনোভাবেই ওষুধ সেবন করা যাবে না।
অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
হৃদরোগ থেকে বাঁচতে হলে অন্যান্য অসুখের দিকেও নজর রাখতে হবে। যেমন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে হবে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে হার্ট সুস্থ রাখা সহজ হয়। তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিয়মিত লিপিড প্রোফাইল স্ক্রিনিং
হৃদরোগ থেকে দূরে থাকার জন্য নিয়মিত লিপিড প্রোফাইল স্ক্রিনিং জরুরি। এটি নির্দিষ্ট সময় অন্তরের অন্তর লিপিড প্রোফাইল ক্লিনিং করলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক আছে কি না। যদি ঠিক না থাকে, তাহলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
এইচএন