দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান ভাইস চ্যান্সেলরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান ভাইস চ্যান্সেলরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছে তিন তার পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর সাইফুর রহমান। একইসঙ্গে রেজিস্ট্রার বরাবর শুক্রবার দুপুরে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ ও ছাত্র উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে থাকা আরও কয়েকজন শিক্ষক পদত্যাগের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের একটি প্রতিনিধি দল ভাইস চ্যান্সেলরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে যান। কিন্তু তিনি সে সময় বাসভবনে ছিলেন না। সন্ধ্যার কিছু আগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি শিকদারের বাসভবনে আছেন ভিসি। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা তার সঙ্গে দেখা করতে চান কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। পরে একপর্যায়ে কথা বলেন উপস্থিত শিক্ষকদের সঙ্গে। ভিসি এম কামরুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে যাওয়ার কথা জানান তাদের। পরে রাত দশটার দিকে তিনি চলে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা তাকে ভেটেরিনারি গেটে আটক করেন। পরে রাত দেড়টার দিকে প্রশাসনের সহায়তায় তিনি ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
এর আগে, ২০২১ সালের ৩০ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ম ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে চার বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন তিনি। হিসেব অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের প্রায় এগারো মাস আগেই পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন হাবিপ্রবির ভিসি। হাবিপ্রবিতে যোগদানের আগে প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন।
ইমরান আলী সোহাগ/এমএসএ