হত্যার পর স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা

হত্যার পর স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা

রাজাবাড়ীর পাংশায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মোছা. চামেলী বেগমকে (২৩) ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বামী রতন খাঁ (৩৫)। এ ঘটনাকে পরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার।

রাজাবাড়ীর পাংশায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মোছা. চামেলী বেগমকে (২৩) ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বামী রতন খাঁ (৩৫)। এ ঘটনাকে পরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) নিহত চামেলীর বাবা আ. মালেক মন্ডল বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ রতনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। তিনি আদালতে হত্যাকানণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

এর আগে গতকাল শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলায় পাট্টা ইউনিয়নের বিলমন্ডব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত চামেলী বেগম পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের আ. মালেক মন্ডলের মেয়ে। আসামি একই ইউনিয়নের বিল মন্ডম গ্রামের মো. হারেজ আলী খাঁর ছেলে মো. রতন খাঁ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে রতন তার স্ত্রী চামেলীকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মরদেহ ঘর থেকে বারান্দায় এনে তার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে সে চিৎকার করে সবাইকে জড় করে এবং তার স্ত্রীর বাড়িতে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে পাংশা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চামেলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পাংশা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, পুলিশ সন্দেহভাজন ভাবে রতন খাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞসাবাদ করলে সে তার স্ত্রী চামেলীকে নিজ হাতে হত্যা করার অপরাধ স্বীকার করে। পুলিশ তার দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ওড়না এবং পরবর্তীতে ব্যবহৃত বিষের বোতলটি উদ্ধার কারে। আসামি রতন খাকে আদালতে পাঠানো হলে সে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দোষ স্বীকার করেছেন। পরে আদালত আসামি রতনকে কারাগারে প্রেরণ করে।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *