প্রায় ৫ বছর আগে মোরশেদ আলম নামে এক যুবককে ‘হত্যার’ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। তাদের দাবি, হত্যাকারীরা আওয়ামী লীগ সরকারের লোক হওয়ায় তারা বিচার পাননি। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন এলাকাবাসী।
প্রায় ৫ বছর আগে মোরশেদ আলম নামে এক যুবককে ‘হত্যার’ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। তাদের দাবি, হত্যাকারীরা আওয়ামী লীগ সরকারের লোক হওয়ায় তারা বিচার পাননি। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চৌরাস্তা বাজারে এলাকাবাসীর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় নিহত মোরশেদের বড় ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমর ভাই মোরশেদের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীরা আওয়ামী লীগ সরকারের লোক হওয়ায় আমরা বিচার পাইনি। আমরা আবারও হত্যার ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেব।
নিহত মোরশেদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে ভবানীগঞ্জ কলেজের পাশের স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিনা মেম্বারের বসতবাড়ি থেকে মোরশেদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই নারী ইউপি সদস্যকে আসামি করে ছয়জনের নামে হত্যা মামলা করেন মোরশেদের মা ফুলবানু। ২০২১ সালের অক্টোবরে মামলায় রায়ে আসামিরা খালাস পেয়ে যান।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আসামিরা প্রভাব বিস্তার করে হত্যা মামলা থেকে রেহাই পেয়েছিলেন। মোরশেদকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হলেও পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদন এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্ট মনগড়াভাবে করানো হয়েছে। রিপোর্টে তার স্বাভাবিক মৃত্যু দেখানো হয়েছে। কিন্তু মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুনরায় ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, ভিকটিম মোরশেদ সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের মৃত সফি উল্যার ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও ছাত্রদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের ছোট ভাই।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এফআরএস