হজরত নূহ আ.-এর নৌযানের আরোহী ছিলেন যারা

হজরত নূহ আ.-এর নৌযানের আরোহী ছিলেন যারা

হজরত নূহ আলাইহিস সালামের যুগের প্লাবনের কথা ইতিহাস প্রমাণিত। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা নিজেই এই বন্যার কথা উল্লেখ করেছেন। এর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে সূরা হুদে।

হজরত নূহ আলাইহিস সালামের যুগের প্লাবনের কথা ইতিহাস প্রমাণিত। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা নিজেই এই বন্যার কথা উল্লেখ করেছেন। এর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে সূরা হুদে।

খোদাদ্রোহীদের শাস্তির জন্য আল্লাহ তায়ালা এই প্লাবন দিয়েছিলেন। খোদাদ্রোহীরা ধ্বংস হওয়ার পর আল্লাহ তায়ালা তুফান এবং বন্যা বন্ধ করেছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে পানি শুকাতে থাকে এবং একদিন জুদি নামক পাহাড়ে ঈমানদারদের বহনকারী নৌকাটি গিয়ে থাকে।

এই নৌকাটি নূহ আলাইহিস সালাম আল্লাহ তায়ালার নির্দেশেই তৈরি করেছিলেন। যখন ঝড় তুফানের আলামত প্রকাশ পেল তখন আল্লাহ তায়ালা নূহ আ.-কে বলে দিলেন কাদেরকে এই নৌযানের আরোহী করা হবে।

এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, 

حَتّٰۤی اِذَا جَآءَ اَمۡرُنَا وَ فَارَ التَّنُّوۡرُ ۙ قُلۡنَا احۡمِلۡ فِیۡهَا مِنۡ كُلٍّ زَوۡجَیۡنِ اثۡنَیۡنِ وَ اَهۡلَكَ اِلَّا مَنۡ سَبَقَ عَلَیۡهِ الۡقَوۡلُ وَ مَنۡ اٰمَنَ ؕ وَ مَاۤ اٰمَنَ مَعَهٗۤ اِلَّا قَلِیۡلٌ

শেষে যখন আমার নির্দেশ এসে গেল, জমিন থেকে পানি উথলে উঠতে লাগল, আমি বললাম, ‘শ্রেণীর প্রাণী থেকে দু’টি তাতে তুলে নাও আর তোমার পরিবার পরিজনকে, তাদের ছাড়া যাদের ব্যাপারে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকেও (তুলে নাও)। তার সঙ্গে ঈমান এনেছিল খুব অল্প কয়েকজনই। ( সূরা হুদ, আয়াত : ৪০)

আল্লাহ তায়ালার নির্দেশের পর সকল সৃষ্ট জীবের জোড়া জোড়া নৌকায় তুলে নেওয়া হয়েছিল। অনেকে বলেন, যে গাছপালাও রাখা হয়েছিল। আর আল্লাহই ভালো জানেন। 

যুগল জীবের এক এক জোড়া বলতে যেসব প্রাণী স্ত্রী-পুরুষের মিলনে বংশ বিস্তার করে এবং পানির মধ্যে বেঁচে থাকতে পারে না কেবল তাদেরকেই জাহাজে উঠানো হয়েছিল।

নূহ আ. তাঁর পরিবারসহ ঈমানদার নর-নারীকে নৌকায় তুলে নেন। তাদের সঠিক সংখ্যা কোরআন বা হাদিসে উল্লেখিত হয়নি। 

তবে আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত, তাদের সংখ্যা ছিল ৪০ জন করে পুরুষ ও নারী মোট আশি জন। প্লাবনের পর তারা ইরাকের মুসেল নগরীর যে স্থানটিতে বসতি স্থাপন করেন, তা সামানুন বা আশি নামে খ্যাত হয়ে যায়।

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *