সৌদি সরকারের সম্মতি, এবার সমুদ্রপথে হজে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা

সৌদি সরকারের সম্মতি, এবার সমুদ্রপথে হজে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা

বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে সৌদি সরকার। গত রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে সৌদি আরবের জেদ্দায় হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি হজ ও উমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি মন্ত্রী এ সম্মতির কথা জানান।

বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে সৌদি সরকার। গত রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে সৌদি আরবের জেদ্দায় হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি হজ ও উমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি মন্ত্রী এ সম্মতির কথা জানান।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমুদ্রপথে হজযাত্রী প্রেরণের বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টার প্রস্তাবে সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, সমুদ্র পথে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী প্রেরণে সৌদি সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে। এবিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকেও জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

উল্লেখ্য, এ বছর পরীক্ষামূলক পানিপথে জাহাজযোগে দুই-তিন হাজার হজযাত্রী প্রেরণের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে।

সৌদি হজ ও উমরাহবিষয়ক মন্ত্রী হজযাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে আপগ্রেড করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেন। তিনি হজ এজেন্সির মালিক অথবা তাদের প্রতিনিধির অনুকূলে মুনাজ্জেম (মাল্টিপল) ভিসা ইস্যুর ব্যাপারেও ধর্ম উপদেষ্টাক আশ্বস্ত করেন। এছাড়া, রুট টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে হজযাত্রীদের বেশ কিছু লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও মন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টাকে আশ্বাস দেন।

এবছর সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি এজেন্সিকে কমপক্ষে দুই হাজার হজযাত্রী পাঠানোর কোটা নির্ধারণ করা হয়। এ ব্যাপারে ধর্মী উপদেষ্টা ২০২৪ সালের অনুরূপ এজেন্সি প্রতি দুইশ পঞ্চাশ জন কোটা পুনর্নির্ধারণের অনুরোধ জানালে সৌদি মন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।

এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রীকে সহায়তা করেন সেদেশের হজ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ড. হাসান আল মানাখেরা এবং  হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বদর আল সেলামী।

এ সময় ধর্মসচির মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার রাকিবুল্লাহ, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ মঈনুল কবির, জেদ্দা হজ মিশনের কাউন্সেলর জহিরুল ইসলাম, হজ কনসাল মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এআর/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *