চাঁপাইনবাবগঞ্জের নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুস সামাদ বলেছেন, আমার দলীয় কিংবা ব্যক্তি বিশেষের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নেই, থাকার কোনো সুযোগও নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি সরকারের কাছে, আমার নীতির কাছে এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। কারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমার বেতন হয়। আমার টার্গেট থাকবে সেই বেতন যেন আমি হালাল করতে পারি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুস সামাদ বলেছেন, আমার দলীয় কিংবা ব্যক্তি বিশেষের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নেই, থাকার কোনো সুযোগও নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি সরকারের কাছে, আমার নীতির কাছে এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। কারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমার বেতন হয়। আমার টার্গেট থাকবে সেই বেতন যেন আমি হালাল করতে পারি।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমার মুখে যতই দাড়ি থাকুক, কপালে সিজদার দাগ থাকুক, আমার রিজিক যদি হালাল না হয়, তাহলে তা কোনো কাজেই আসবে না। তাই আমি সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলতে চাই। এই ক্ষেত্রে কে কী ভাবল, কোন রাজনৈতিক নেতা কী ভাবলেন কিংবা সাংবাদিক ভাইয়েরা কী ভাবলেন উনি তো এই পথের না, এই মতের না। সবাই আমাকে ভালোবাসবেন এটাও আমি চাই না। সিরাতুল মুস্তাকিমে চলতে গেলে যারা সুবিধা পাবে না তারা আমার বিরাগভাজন হবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই আমার যে লক্ষ্য সেই পথেই আমি চলব।
দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স জানিয়ে তিনি বলেন, ইটভাটার ওপর থেকে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি এই জেলা প্রশাসন করবে না। কারণ আমি আজকে চাঁদাবাজি করব, আবার কালকেই আমি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে যাবো, তাতো হবে না। আমরা দায়বদ্ধ সরকারের কাছে, জনগণের কাছে। ইটভাটার মালিকের কাছে আমার কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আপনারা আমাকে জানাবেন, তথ্য দেবেন। এছাড়া শুরুতে আমার অফিস দিয়েই শুরু করতে চাই এবং আামার দপ্তরকে শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা করতে চাই। এটা যদি করতে না পারি তাহলে শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।
ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, যুবক সমাজ অনেক রক্ত দিয়েছে। আমরা কিন্ত পারিনি। আমরা যারা চাকরিজীবী, আপনারা যারা পেশাজীবী আছেন, আমরা সবাই বঞ্চনার শিকার হয়েছি, কেউ কথা বলতে পারিনি। কিন্তু তবুও কি আমরা মাঠে দাঁড়িয়েছিলাম, আমাদের অবস্থান থেকে কি বলেছি যে আমি কথা বলতে পারছি না। আমাদের এই কাজগুলো করা উচিৎ ছিল। কিন্তু করতে পারিনি। ঈমানের সর্বনিন্ম যে স্তর মনে মনে ঘৃণা করা, আমরা আসলে ওই পর্যায়ে ছিলাম। আমরা কথা বলার মতো বা কোনো স্টেপ নেওয়ার মতো পর্যায়ে ছিলাম না। ইনশাআল্লাহ এখন আমরা সেই পর্যায়ে আছি। এখন আমরা কন্টিনিউ কথা বলতে পারছি। এই সুযোগ তৈরি হয়েছে। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে সম্ভব হয়েছে। কাজেই শহীদদের রক্তের সঙ্গে কোনোভাবেই বেঈমানি করা যাবে না।
মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব উল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকতেখারুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আল মনসুর শোয়াইবসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আশিক আলী/আরএআর