সালমান শাহ’র সেই চিরকুট এখনও আছে : ববিতা

সালমান শাহ’র সেই চিরকুট এখনও আছে : ববিতা

নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। খুবই অল্প সময়ে জয় করে নিয়েছিলেন দর্শকের হৃদয়। লাখো ভক্তের কাছে সালমান ছিলেন স্বপ্নের নায়ক।

নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। খুবই অল্প সময়ে জয় করে নিয়েছিলেন দর্শকের হৃদয়। লাখো ভক্তের কাছে সালমান ছিলেন স্বপ্নের নায়ক।

বেশ কয়েকটি কালজয়ী সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকমনে জায়গা করে নেন সালমান। এছাড়াও নব্বই দশকের সে সময়ে তার স্টাইল, ফ্যাশন সেন্স চমকে দিয়েছে দর্শকদের। কিন্তু মাত্র ২৪শেই জীবন প্রদীপ নিভে যায় সালমানের; বাংলাদেশকে হারাতে হয় একজন বিশ্বমানের নায়ককে।   

আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সালমানের মৃত্যুর ২৮ বছর হয়েছে। কিন্তু তাতেও এক বিন্দু জনপ্রিয়তা কমেনি এই নায়কের। ইন্টারনেটের এই যুগে দর্শকদের হৃদয়ে এখনও সালমান বেঁচে আছেন সেই স্বপ্নের নায়ক হয়েই।

প্রিয় নায়কের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে সালমানকে স্মরণ করে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছেন তার ভক্তরা। এরইমধ্যে সালমানের স্মৃতিচারণ করলেন তার সহশিল্পী, নায়িকা ববিতা। জানালেন, মৃত্যুর এত বছর কেটে গেলেও সালমান তার অভিনয় আর ফ্যাশনের ভিন্নমাত্রা দিয়ে দর্শকের হৃদয়ে গেঁথে আছে। সালমান এমনভাবে সংলাপ বলত, এক্সপ্রেশন দিত যে বোঝার উপায় থাকত না, এটা অভিনয় নাকি সত্যি। ববিতার কথায়, ‘আমার সঙ্গে সালমানের বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ হয়েছে। সালমান আমাকে প্রায়ই বলত, আপনি আমার আপন মা না হলেও আপনি আমার সুইট মা। আমাকে সে মা বলেই ডাকত।’

ববিতার স্মৃতিচারণ, ‘যখন প্রথম মোবাইল ফোন বাজারে এল, সাইজে সেটা বেশ বড় ছিল। আমি সেই মোবাইল ব্যবহার করতে পারতাম না। সালমানই আমাকে একটি চিরকুটে লিখে দিয়ে মোবাইল ব্যবহার করা শিখিয়েছিল। সালমানের নিজের হাতের লেখা সেই চিরকুটটি এখনো আমার কাছে বেশ যত্নে রাখা আছে। সেই চিরকুটের মাঝেই আমি সালমানকে খুঁজে বেড়াই।’

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নায়িকা ববিতার সঙ্গে সালমান শাহ ৪টি ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এগুলো হচ্ছে- বাদল খন্দকারের ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, দীলিপ সোমের ‘মহামিলন’, শিবলী সাদিকের ‘মায়ের অধিকার’ ও জাকির হোসেন রাজুর ‘জীবন সংসার’। দুটি ছবিতে সালমানের মায়ের ভূমিকায় এবং দুটি ছবিতে সালমানের ভাবির ভূমিকায় অভিনয় করেন ববিতা।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে যান এই জনপ্রিয় নায়ক। নায়ক চলে গেছেন, বদলে গেছে প্রজন্ম। তবুও রয়ে গেছে তার জনপ্রিয়তা।

ডিএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *